রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার দূরত্ব কমতে যাচ্ছে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে ১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতীয় তিস্তা গার্ডার সেতু। জুলাই মাসের শেষে স্বপ্নের এই সেতুটি উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
৮৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতু প্রকল্পের আওতায় তৈরি হয়েছে দুই পাশের ৮৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ও ৩.৫ কিলোমিটার নদী শাসন ব্যবস্থা। সেতুর ৩১টি স্প্যান ও ২৯০টি পাইল বসানোর কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
সেতুটি চালু হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। কৃষিপণ্য ঢাকায় পৌঁছাবে কম সময়ে, কৃষকরা পাবেন ন্যায্য দাম। গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের বহু বছরের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে এই সেতুর মাধ্যমে। এছাড়া তিস্তার ভাঙনও অনেকাংশে রোধ হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে কুড়িগ্রামে যেতে লালমনিরহাট হয়ে ঘুরপথে যেতে হতো। এখন সরাসরি সড়কপথে যাতায়াতের সময় ও দূরত্ব কমবে। কুড়িগ্রামের পরিবহন শ্রমিকদের মতে, আগে ঢাকা যেতে যেখানে ৮ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন তা কমে হবে মাত্র ৬ ঘণ্টা।
উল্লেখ্য, তিস্তা পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পর ২০১২ সালে সেতুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ২০১৪ সালে নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও নানা কারণে দীর্ঘ সময় ধরে কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হয়। অবশেষে চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষে সেতুটি উদ্বোধনের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন