ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১০ জন, ঢাকার বাইরের ১০ জন। এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৬ জনে। এর মধ্যে চলতি অক্টোবর মাসের ২১ দিনে প্রাণ গেছে ২৫৭ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৮৪ জন। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৮৮৯ জন ডেঙ্গুরোগী।
অন্যদিকে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৮ হাজার ১১৪ জন ডেঙ্গুরোগী।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৮৮৯ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪১২ এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৪৭৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৬ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার তিন শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই লাখ ৫২ হাজার ৯৯০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৫ হাজার ৩০ জন আর ঢাকার বাইরের লাখ ৫৭ হাজার ৯৬০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৭৫৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪১৯ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৩৩৯ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৪৩ হাজার ৬৩০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯১ হাজার ৯২২ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৫১ হাজার ৭০৮ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে মোট ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।