চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ হওয়ার লড়াইয়ে ইতালির বিপক্ষে দাপুটে ফুটবল খেলছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করে ফেলেছে আলবিসেলেস্তেরা। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গেলো লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
ম্যাচের ২৮ মিনিটে লিওনেল মেসির পাস থেকে প্রথম গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ। আর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মার্টিনেজের পাস থেকে বুদ্ধিদীপ্ত শটে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া।
লন্ডনের ওয়েম্বেলিতে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ও কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়নদের এ লড়াইয়ে শুরু থেকেই আধিপত্য রেখে খেলেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট বারবার ইতালির রক্ষণে হানা দিয়েছেন লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়ারা।
নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ইতালিও আক্রমণে ওঠে ২০ মিনিটের মাথায়। ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ানো রোমেরো ও গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের কল্যাণে সে দফায় বিপদ ঘটেনি আর্জেন্টিনার, ভালো সুযোগ তৈরি করেও জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারেনি ইতালি।
অবশেষে ২৮ মিনিটের সময় আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। দারুণ এক টার্ন নিয়ে কাছে ঘেঁষে থাকা ডিফেন্ডার ডি লরেঞ্জোকে পরাস্ত করেন মেসি। বাম পাশ দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে সামনে এগিয়ে বল বাড়িয়ে দেন ডি-বক্সে অপেক্ষায় থাকা লাউতারো মার্টিনেজের কাছে।
ঠিক গোলমুখে ওৎ পেতে থাকা মার্টিনেজকে বেশি কিছু করতে হয়নি। শুধু ঠিকঠাক পা লাগিয়ে গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মাকে পরাস্ত করেন মার্টিনেজ, উল্লাসে মাতে পুরো আর্জেন্টাইন শিবির। আর্জেন্টিনার জার্সিতে মার্টিনেজের এটি ২০তম গোল।
এক গোলের লিড নিয়ে যেনো স্বস্তিতে থাকতে পারেনি আর্জেন্টিনা। তাই এগিয়ে গিয়েও কমায়নি আক্রমণের তেজ। অন্যদিকে পিছিয়ে পড়ে ইতালিও খুঁজতে থাকে গোলের সুযোগ। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের মাথায় মেসিকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইতালির লেওনার্দো বনুচ্চি।
সেই বনুচ্চির সামনে দিয়েই হয় দ্বিতীয় গোলের আক্রমণের সূচনা। মার্টিনেজকে আটকানোর দায়িত্বে ব্যর্থ হন বনুচ্চি। বল নিয়ে সোজা ওপরে উঠে যান মার্টিনেজ, তাকে সহায়তা করতে ডান দিক দিয়ে ওপরে ওঠে ডি মারিয়াও।
ডি-বক্সের কাছে গিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডি মারিয়ার উদ্দেশ্যে বল এগিয়ে দেন মার্টিনেজ। সেই বল থেকে আলতো চিপ করে ডনারুম্মার মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান ডি মারিয়া। এই গোলে বিরতিতে যাওয়ার আগে স্বস্তি খুঁজে পায় আর্জেন্টিনা।