ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিপু মুনশি ও তার স্ত্রীর জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও তার স্ত্রী মালবিকা মুনশির নামে থাকা জমি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব, কোম্পানির শেয়ার ও গাড়ি অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

জব্দ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে টিপু মুনশির রয়েছে, রাজধানীর উত্তরার প্লটসহ তিনতলা ভবন ও রংপুরের পীরগাছার থানার ৯১ দশমিক ৯২ শতাংশ জমি। এ ছাড়া ১১ ব্যাংক হিসাব, নয়টি শেয়ার ও দুটি গাড়ি ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে আট কোটি ৭২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৪০ টাকা রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি হিসাবে আছে দুই কোটি ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৬০ টাকা রয়েছে। নয়টি শেয়ার ও দুটি গাড়ি মূল্য দেওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮০ টাকা।

মালবিকা মুনশির রয়েছে, রাজধানীর গুলশানের একটি জমি, একটি ব্যাংক হিসাব ও পরিবারের সঞ্চয়পত্রসহ ১০ প্রতিষ্ঠানের চার কোটি ৬৭ লাখ ২৫ হাজার ১০৩ টাকার শেয়ার।

এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা এসব স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি টিপু মুনশি পাবলিক সার্জেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থেকে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে অসৎ উদ্দেশ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ পাঁচ কোটি ৯০ লাখ, ২৭ হাজার ৬১২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে এবং নিজ নামে ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৩ টাকা জমা ও ১৪ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৭ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩২ কোটি ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার স্থানান্তর ও রূপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

আসামিদের নামীয় ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এসব স্থাবর সম্পদ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআরসহ অন্যান্য হিসাবের অর্থ (অস্থাবর সম্পদ) অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে নিম্নবর্ণিত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে ক্ষতির কারণ রয়েছে। এমতাবস্থায় এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ হওয়া আবশ্যক।

শুনানি শেষে বিচারক স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ব্যাংক হিসাবসহ অস্থাবর সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেন।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

টিপু মুনশি ও তার স্ত্রীর জমি জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

প্রকাশিত সময়:- ১০:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও তার স্ত্রী মালবিকা মুনশির নামে থাকা জমি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব, কোম্পানির শেয়ার ও গাড়ি অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

জব্দ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে টিপু মুনশির রয়েছে, রাজধানীর উত্তরার প্লটসহ তিনতলা ভবন ও রংপুরের পীরগাছার থানার ৯১ দশমিক ৯২ শতাংশ জমি। এ ছাড়া ১১ ব্যাংক হিসাব, নয়টি শেয়ার ও দুটি গাড়ি ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে আট কোটি ৭২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৪০ টাকা রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি হিসাবে আছে দুই কোটি ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৬০ টাকা রয়েছে। নয়টি শেয়ার ও দুটি গাড়ি মূল্য দেওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮০ টাকা।

মালবিকা মুনশির রয়েছে, রাজধানীর গুলশানের একটি জমি, একটি ব্যাংক হিসাব ও পরিবারের সঞ্চয়পত্রসহ ১০ প্রতিষ্ঠানের চার কোটি ৬৭ লাখ ২৫ হাজার ১০৩ টাকার শেয়ার।

এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা এসব স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি টিপু মুনশি পাবলিক সার্জেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থেকে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে অসৎ উদ্দেশ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ পাঁচ কোটি ৯০ লাখ, ২৭ হাজার ৬১২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে এবং নিজ নামে ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৩ টাকা জমা ও ১৪ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৭ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩২ কোটি ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার স্থানান্তর ও রূপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

আসামিদের নামীয় ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এসব স্থাবর সম্পদ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, এফডিআরসহ অন্যান্য হিসাবের অর্থ (অস্থাবর সম্পদ) অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে নিম্নবর্ণিত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে ক্ষতির কারণ রয়েছে। এমতাবস্থায় এসব সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ হওয়া আবশ্যক।

শুনানি শেষে বিচারক স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ব্যাংক হিসাবসহ অস্থাবর সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেন।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন