ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান-ইসরাইল সংঘাত

টাকা না দিয়ে মর্গে মেয়ের দেহ ফেলে রেখেছিল: মৌসুমী

অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় ২০১৯ সালে বড় মেয়ে পায়েলকে হারান। শোনা গিয়েছিল, মেয়ে যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তখন নাকি তাকে দেখতে একটিবারের জন্যও হাসপাতালে যাননি অভিনেত্রী।
পায়েলের শ্বশুরবাড়ির তরফে তোলা হয়েছিল এমন অভিযোগ। মেয়ের মৃত্যু নিয়ে পুরো সময়ই চুপ ছিলেন মৌসুমী। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন তিনি।

তার পাল্টা অভিযোগ, মর্গে রেখে দেওয়া হয়েছিলেন মেয়ের দেহ। কারণ শ্বশুরবাড়ির লোক হাসপাতালের বিল মেটায়নি।
সেই বেদনাদায়ক ঘটনার কথা বর্ণনা করে মৌসুমী বলেন, যখন হাসপাতালে পৌঁছাই পায়েল তখন নেই। হাসপাতালের মর্গে ফেলে রাখা হয়েছিল পায়েলকে। সেসব ঝামেলা আমি মিটিয়েছি। যা গিয়েছে তা ফেরানো যাবে না। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা কখনওই ঠিক হয় না।

মৌসুমীর ছোট মেয়ের নাম মেঘা। পায়েল ও মেঘার বয়সের ফারাক প্রায় আট বছরের। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী জানান, মেঘার কাছে পায়েল ছিলেন দ্বিতীয় মা। দিদি হারানোর শোক দগ্ধ করেছিল তাকেও।

স্বামী জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় আজও ভুলতে পারেননি বা বলা ভাল মেনে নিতে পারেননি বড় মেয়ের মৃত্যু। তার কথায়, এই শূন্যতা কখনও পূর্ণ হবে না।
পায়েলের স্বামীর নাম ডিকি সিনহা। শুরু থেকেই ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে তার সঙ্গে মৌসুমীর পরিবারের সম্পর্ক ভালো ছিল না। ২০১৮ সালে অভিনেত্রী আদালতে পায়েলের আইনত অভিভাবক হওয়ার আবেদন জানান।

ছোট থেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন পায়েল। মৃত্যুর আগে দুই বছর কোমায় ছিলেন তিনি। মৌসুমীর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির তরফে ঠিক মতো খেয়াল রাখা হয়নি তার। ঠিকঠাক চিকিৎসাও হয়নি।

পায়েলের মৃত্যুর পর দুই পরিবারের মধ্যে প্রচুর জলঘোলা হয়। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা আজও প্রতি মুহূর্তে দগ্ধ করে অভিনেত্রীকে।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার মা-বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

No description available.

টাকা না দিয়ে মর্গে মেয়ের দেহ ফেলে রেখেছিল: মৌসুমী

প্রকাশিত সময়:- ০৭:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় ২০১৯ সালে বড় মেয়ে পায়েলকে হারান। শোনা গিয়েছিল, মেয়ে যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তখন নাকি তাকে দেখতে একটিবারের জন্যও হাসপাতালে যাননি অভিনেত্রী।
পায়েলের শ্বশুরবাড়ির তরফে তোলা হয়েছিল এমন অভিযোগ। মেয়ের মৃত্যু নিয়ে পুরো সময়ই চুপ ছিলেন মৌসুমী। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন তিনি।

তার পাল্টা অভিযোগ, মর্গে রেখে দেওয়া হয়েছিলেন মেয়ের দেহ। কারণ শ্বশুরবাড়ির লোক হাসপাতালের বিল মেটায়নি।
সেই বেদনাদায়ক ঘটনার কথা বর্ণনা করে মৌসুমী বলেন, যখন হাসপাতালে পৌঁছাই পায়েল তখন নেই। হাসপাতালের মর্গে ফেলে রাখা হয়েছিল পায়েলকে। সেসব ঝামেলা আমি মিটিয়েছি। যা গিয়েছে তা ফেরানো যাবে না। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা কখনওই ঠিক হয় না।

মৌসুমীর ছোট মেয়ের নাম মেঘা। পায়েল ও মেঘার বয়সের ফারাক প্রায় আট বছরের। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী জানান, মেঘার কাছে পায়েল ছিলেন দ্বিতীয় মা। দিদি হারানোর শোক দগ্ধ করেছিল তাকেও।

স্বামী জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় আজও ভুলতে পারেননি বা বলা ভাল মেনে নিতে পারেননি বড় মেয়ের মৃত্যু। তার কথায়, এই শূন্যতা কখনও পূর্ণ হবে না।
পায়েলের স্বামীর নাম ডিকি সিনহা। শুরু থেকেই ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে তার সঙ্গে মৌসুমীর পরিবারের সম্পর্ক ভালো ছিল না। ২০১৮ সালে অভিনেত্রী আদালতে পায়েলের আইনত অভিভাবক হওয়ার আবেদন জানান।

ছোট থেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন পায়েল। মৃত্যুর আগে দুই বছর কোমায় ছিলেন তিনি। মৌসুমীর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির তরফে ঠিক মতো খেয়াল রাখা হয়নি তার। ঠিকঠাক চিকিৎসাও হয়নি।

পায়েলের মৃত্যুর পর দুই পরিবারের মধ্যে প্রচুর জলঘোলা হয়। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা আজও প্রতি মুহূর্তে দগ্ধ করে অভিনেত্রীকে।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন