জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার সিলিমপুর গ্রামে বিবাদমান জমির ধানকাটাকে কেন্দ্র জোবায়ের নামে একজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ।
আহত জোবায়েরকে প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসাপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
গুরুতর আহত জোবায়ের হোসেন জানান, গত ২২ মে, রবিবার সকালের দিকে আমি জানতে পারি আমার লাগানো ধানগুলো নজরুলের ছেলে মেহেদী, হাসেমের ছেলে তোতা ও মামুনের ছেলে রাহি তারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে এসময় আমি সেখানে গিয়ে ধান কাটতে নিষেধ করলে তারা আমি বেধরপ মারধর করে। এমন অবস্থায় আমি অঙ্গান হয়ে পরে যায় তারপর আমি আর কিছু বলতে পারি না।
ঘটনার সত্যতা জানতে গতকাল জরেজমিনে গিয়ে প্রত্যাক্ষদর্শী শালগুন উত্তরপাড়া গ্রামের ফরেজা বেগম সাংবাদিকদের জানান, জোবায়েরদের ধান প্রতিপক্ষরা কেটে নিয়ে যাচ্ছে, এমন খবর পেয়ে জোবায়ের নিষেধ করতে গেলে প্রতিপক্ষ সিলিমপুর গ্রামের নুরুলের হোসেনের ছেলে মেহেদী, হাসমতুল্লাহর ছেলে তোতা, হামিদুর রহমানসহ তিনজন মিলে জোবায়েরকে এলোপাতারি মারপিট করতে থাকে এসময় আমি দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে লাগলে এলাকার মানুষ এগিয়ে আসে। মানুষ আসা দেখে তখন তারা জোবায়েরকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের মানুষকে খবর দিলে তারা এসে তাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়।
শালগুন গ্রামের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মাসুদ রানা একই গ্রামের মহির উদ্দিন জানান, আমরা জমির ধান দেখার জন্য মাঠে যেতেই দেখি কয়েকজন মিলে জোবায়ের নামে ওই মানুষটিকে মারপিট করছে আমরা কিছুই না বুঝে তাদেরকে বাধা দেওয়ার চেস্টা করি এবং চিৎকার করে আরো মানুষকে ডাকি, আমরা না এগিয়ে আসলে হয়তবা তারা তাকে মেরেই ফেলতো, পরে তারা পালিয়ে যায়, এরপর আমরা জোবায়েরের পরিবারকে খবর দেই।
মাত্রায় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য গোলাম রসুল জানান, আমি ঘটনাটি জানতে পারি থানার ওসির মাধ্যমে। কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ আমাকে ফোন দিয়ে ওই বিবাদমান জমির ধানগুলো কেটে বিক্রি করে দিয়ে টাকাগুলো তার কাছে দিতে বলেছেন, আমি সে জন্যই ধানগুলো মাড়াই করে বিক্রি করার কাজ করছি।
এ ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে প্রতিপক্ষদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা কোটের রায় পেয়েছি তাই আমরা ধান কাটতে গিয়েছি। তারা বলেন আমরা জোবায়েরকে মারপিটন করিনি, প্রশাসান তদন্দ করে দেখুক কে মেরেছে। তবে ঘটনার প্রতিপক্ষরা সাংবাদিকদের কোন শক্ত কোন এভিডেন্স দেখাতে পারেনি, শুধু মামলার একটি খারিজের কপি দেখিয়ে বলেন আমরা কেটের রায় পেয়েছি তাই ধান কাটতে গিয়েছি।
এবিষয়ে কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ মঈনদ্দীন জানান, আমরা ত্রিপল নাইনের ফোনে জানতে পারি যে কে বা কাহারা জমির ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি জানার পরই আমি পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠায়। আমার পুলিশ গিয়ে ঘটনার সত্যতা জেনে আসে আর জমির ধান গুলো স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে হেফাজতে রাখার কথা বলা হয়েছে। পরে মিমাংসার পরে যে জমির ধান পাবে তাকে সেই ধান বুঝে দেওয়া হবে। তবে মারামারির বিষয়ে আমি অভিযোগ পেলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো।