ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতিকালে আসামীর মৃত্যু

 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

জয়পুরহাটে স্ত্রীর মামলায় আসামী আটকের পর আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতিকালে মনিরুজ্জামান (৪৮) নামে এক পৌর কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (০৮ জুন) দুপুরের দিকে থানা হাজতে অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার বড় ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত কছির
উদ্দিনের ছেলে হাকিমপুর পৌরসভার কর্মচারি মনিরুজ্জামানের সাথে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর মেয়ে কুইন বেগম (২৭) এর সাথে প্রায় দুই বছর পূর্বে পরকিয়া প্রেমের সম্র্পক গড়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামান তার স্ত্রী-সন্তান থাকাবস্থায় এবং কুইন তার পূর্বের রিক্সা চালক স্বামীকে তালাক দিয়ে উভয়ের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। পরে কুইন জয়পুরহাট শহরের দেওয়ান পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে। এই সন্তানকে স্বীকৃতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কলোহ বিবাদ লেগেই থাকত। পরে মনিরুজ্জামান কুইনকে তালাক দিলে কুইন আদালতে যৌতুক ও দেনমোহরের দুটি মামলা করেন। মামলা তুলে নিতে মনিরুজ্জামান বিভিন্ন সময় কুইনের ভাড়া বাসায় এসে নানা রকম হুমকি ও নির্যাতন করত। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কুইনের ভাড়া বাসার প্রাচির টপকিয়ে নেশাগ্রস্থ্য অবস্থায় মনিরুজ্জামান ভিতরে প্রবেশ করে কুইনকে মারপিট করে রশি ও বিদুৎতের তার গলায় পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে কুইনের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান জানান, বুধাবার (৮ জুন) সকালে ৯৯৯ থেকে থানার কর্তব্যরত অফিসারের কাছে ফোন আসে যে, কুইন নামে একজন মেয়ে জানায় তার স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারপরও সে বাড়ির ওয়াল টপকে প্রবেশ করে মারপিট করছে। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে সেজন্য কুইন যাতে আদালতে যেতে নাপারে তাই তাকে হত্যার জন্য বাড়িতে প্রবেশ করে গলায় রশি ও বিদুৎতের পেচিয়ে ধরলে মেয়েটি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সে ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কুইনের সাথে ছেলেটির ধস্তাধস্থি হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে হাসপালে নিলে তার শরীরে কিছু দাগ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিজ্ঞাসা করলে সে বলে কিছুক্ষণ পূর্বে ড্রাগস নিয়েছে।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার কিছুক্ষণ পর কুইন নামের মেয়েটি থানায় এসে মামলা করলে সেটি আমলে নিয়ে আসামিকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতির সময় অসুস্থ হয়ে পরলে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে
ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র এন,এ,এম, জামিল হোসেন চলন্ত জানান, মনিরুজ্জামান পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণীর একজন কর্মচারী। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলোহ বিবাদ নিরসনে ইতিপূর্বে দরবার শালিসও করা হয়েছিল। সে মাদকাসক্ত হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে জয়পুরহাটের একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ২ মাস চিকিৎসাধীন ছিল।

জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রাশেদ মোবারক জুয়েল জানান, জয়পুরহাট থানা থেকে অসুস্থ অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তির পর তার মৃত্যু হয়। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইসকন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জয়পুরহাটে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতিকালে আসামীর মৃত্যু

প্রকাশিত সময় :- ১০:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

জয়পুরহাটে স্ত্রীর মামলায় আসামী আটকের পর আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতিকালে মনিরুজ্জামান (৪৮) নামে এক পৌর কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (০৮ জুন) দুপুরের দিকে থানা হাজতে অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার বড় ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত কছির
উদ্দিনের ছেলে হাকিমপুর পৌরসভার কর্মচারি মনিরুজ্জামানের সাথে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর মেয়ে কুইন বেগম (২৭) এর সাথে প্রায় দুই বছর পূর্বে পরকিয়া প্রেমের সম্র্পক গড়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামান তার স্ত্রী-সন্তান থাকাবস্থায় এবং কুইন তার পূর্বের রিক্সা চালক স্বামীকে তালাক দিয়ে উভয়ের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। পরে কুইন জয়পুরহাট শহরের দেওয়ান পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে। এই সন্তানকে স্বীকৃতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কলোহ বিবাদ লেগেই থাকত। পরে মনিরুজ্জামান কুইনকে তালাক দিলে কুইন আদালতে যৌতুক ও দেনমোহরের দুটি মামলা করেন। মামলা তুলে নিতে মনিরুজ্জামান বিভিন্ন সময় কুইনের ভাড়া বাসায় এসে নানা রকম হুমকি ও নির্যাতন করত। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কুইনের ভাড়া বাসার প্রাচির টপকিয়ে নেশাগ্রস্থ্য অবস্থায় মনিরুজ্জামান ভিতরে প্রবেশ করে কুইনকে মারপিট করে রশি ও বিদুৎতের তার গলায় পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে কুইনের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান জানান, বুধাবার (৮ জুন) সকালে ৯৯৯ থেকে থানার কর্তব্যরত অফিসারের কাছে ফোন আসে যে, কুইন নামে একজন মেয়ে জানায় তার স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারপরও সে বাড়ির ওয়াল টপকে প্রবেশ করে মারপিট করছে। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে সেজন্য কুইন যাতে আদালতে যেতে নাপারে তাই তাকে হত্যার জন্য বাড়িতে প্রবেশ করে গলায় রশি ও বিদুৎতের পেচিয়ে ধরলে মেয়েটি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সে ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কুইনের সাথে ছেলেটির ধস্তাধস্থি হয়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে হাসপালে নিলে তার শরীরে কিছু দাগ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিজ্ঞাসা করলে সে বলে কিছুক্ষণ পূর্বে ড্রাগস নিয়েছে।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার কিছুক্ষণ পর কুইন নামের মেয়েটি থানায় এসে মামলা করলে সেটি আমলে নিয়ে আসামিকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতির সময় অসুস্থ হয়ে পরলে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে
ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র এন,এ,এম, জামিল হোসেন চলন্ত জানান, মনিরুজ্জামান পৌরসভার চতুর্থ শ্রেণীর একজন কর্মচারী। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলোহ বিবাদ নিরসনে ইতিপূর্বে দরবার শালিসও করা হয়েছিল। সে মাদকাসক্ত হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে জয়পুরহাটের একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ২ মাস চিকিৎসাধীন ছিল।

জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রাশেদ মোবারক জুয়েল জানান, জয়পুরহাট থানা থেকে অসুস্থ অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তির পর তার মৃত্যু হয়। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন