জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষনে বাধা দেওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
শুক্রবার (৬ মে) রাতে উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের মাঝিনা গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা (২০) কে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় শনিবার (৭ মে) রাতে ওই এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মাঝিনা গ্রামের শংকর মহন্তের ছেলে রনি মহন্ত (৩০), আয়মাপাড়ার খোরশেদ মন্ডলের ছেলে জাহিদ হাসান ( কামিনি জাহিদ) (৩২)।
রবিবার (৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, উক্ত আসামিরা ভিকটিমকে উত্যক্ত করত ও বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিত। যান কারণে ভিকটিমের ভাই মোস্তাক তাদের শাসিয়েছিল। বিষয়টি জেনে তাদের প্রতি সন্দেহ ঘনিভুত হওয়ায় তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে।
আয়েশাকে ধর্ষন করার অভিপ্রায়ে প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ সুযোগ খুজতে থাকে। আয়েশার ভাই মোস্তাক তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর্বে প্রতিবেশী রনিকে বাড়ী ঘরের প্রতি খেয়াল জন্য অনুরোধ করে। এতে করে রনি জানতে পারে যে আয়েশা রাতে বাড়িতে একা অবস্থান করবে। সকলের অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে পেয়ে তার সহযোগী জাহিদসহ ওই দিন রাতে তারা পরিকল্পিতভাবে ওয়াল টপকিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে দেখে আয়েশার শয়ন ঘরের দরজা খোলা, একা শুয়ে ফোনে কথা বলতে দেখে, প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করে সুযোগ বুঝে রাত দুইটায় ঘরে প্রবেশ করে আয়েশার পায়জামা খুলে বিবস্ত্র করে মুখ ও দুহাত চেপে ধরে। আয়েশা চিৎকার করলে পায়জামাটি তার মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। আয়েশা তাতে বাধাদিয়েও রক্ষা না পেয়ে রনির বুকে খামচিয়ে ধরে। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গলা চেপে ধরলে এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।
পরে ওই ভাবেই ওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পাঁচবিবি থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সিআইডির টিম বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে, আলামত গুলো পরীক্ষাপূর্বক বিশেষজ্ঞ মতামত প্রাপ্তির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।