বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জিয়া মুক্তিযুদ্ধের পর বিনা বিচারে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিলো বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, এমপি।
তিনি শনিবার (৩০ এপ্রিল) লালমনিরহাট আদিতমারী আদিতমারী উপজেলা পরিষদ হলরুমে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়া ছিলো একজন সৈনিক, সৈনিক কিভাবে একটা দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারে??
জিয়া ভন্ডামি করে, প্রতারণা করে নিজেকে ঘোষক দাবি করেছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিনা বিচারে ফাঁসি দিয়েছিলো, হত্যা করেছিলো। মুক্তিযোদ্ধাকে কোন সম্মানও করেনাই।
বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন। ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। বাসস্থানের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা জিয়ার সরকার, খালেদার সরকার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিতে দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো। সে চক্র আজও দেশ ও বিদেশে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক ঘোষণা দিয়েছিলো।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।বিগত সরকারের আআমলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী স্বাবলম্বি করতে কোন কাজ করেনি। বর্তমান সরকার ভিক্ষুকদের পুর্নবাসনসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বি করতে ব্যাপক কাজ করেছ। যা সারাবিশ্ব বিস্মিত হয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি জানতে চায়।
অনুষ্ঠানে উপজেলার ১২ জন ভিক্ষুককে ৫০ হাজার টাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুমার, কামারসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ২৬২ জনকে ১৮ হাজার করে নগদ অর্থের চেক বিতরণ করা হয়।
উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে,জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যান পরিষদ হতে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসূচীর আওতায় উপকারভোগীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে শীর্ষক প্রকল্পের উপকারভোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবু জাফরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস,উপ-পরিচালক জেলা সমাজসেবা কার্য্যলয় আব্দুল মতিন ও ইউএনও জিআর সারোয়ার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, সমাজ সেবা কর্মকর্তা রওশন আলী মন্ডল,মহিষখোচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক হোসেন চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মোল্লা প্রমূখ