ঢাকা ১১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামায়াত আমিরের প্রস্তাব: ১৩ মার্চ ‘আছিয়া দিবস’ পালনের আহ্বান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান পাশবিক ধর্ষণের শিকার মাগুরার শিশু আছিয়ার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে দিনটিকে (১৩ মার্চ) ‘আছিয়া দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, মাগুরায় বর্বর নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া ইতিহাসের করুণ সাক্ষী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে সারা বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে চলে গেল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আল্লাহ তা’আলা তাকে একান্ত প্রিয় হিসেবে কবুল করুন, আমিন। মহান রবের দরবারে দোআ করি তিনি যেন আছিয়ার পিতা-মাতাসহ আপনজন নির্বিশেষে বিবেকবান দেশবাসীকে এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করেন।

তিনি বলেন, আছিয়ার এ করুণ পরিণতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আমাদের এ জনপদ শিশুদের জন্য কতটা অনিরাপদ। এই পাশবিক ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের সমাজে ও মস্তিষ্কে পচন ধরেছে। অবক্ষয় হয়েছে সামাজিক মূল্যবোধের। এ মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ এবং মস্তিষ্কের সংশোধন এখন একান্ত জরুরি। আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ বাংলাদেশকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে নিজ নিজ জায়গা থেকে সংশোধনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর অংশ হিসেবে ১৩ মার্চ ‘আছিয়া দিবস’ পালন করা যেতে পারে। যার মূল উদ্দেশ্য হবে শিশুদের সুরক্ষায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি। এর মাধ্যমে এমন সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে যেখানে শিশু, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষ থাকবে নিরাপদ।

তিনি আরও বলেন, মানুষ নামের যে পশুরা পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে নিষ্পাপ এ শিশুটির জীবনের আলো নিভিয়ে দিল আমি তাদের কঠিনতম ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। ধর্ষকদের এ শাস্তি সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। এমন শাস্তি কার্যকর করতে হবে যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ।

তিনি আরও বলেন, আসুন ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে এবং সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই যাতে আর কোনো আছিয়াকে এভাবে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে না হয়।

এই পাশবিক ঘটনার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদান এবং সেই সঙ্গে নিহত শিশুটির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য আমি সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

রোজা রাখার সময় তরকারির লবণ চেখে দেখা যাবে কি?

জামায়াত আমিরের প্রস্তাব: ১৩ মার্চ ‘আছিয়া দিবস’ পালনের আহ্বান

প্রকাশিত সময়:- ১০:২৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান পাশবিক ধর্ষণের শিকার মাগুরার শিশু আছিয়ার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে দিনটিকে (১৩ মার্চ) ‘আছিয়া দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, মাগুরায় বর্বর নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া ইতিহাসের করুণ সাক্ষী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে সারা বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে চলে গেল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আল্লাহ তা’আলা তাকে একান্ত প্রিয় হিসেবে কবুল করুন, আমিন। মহান রবের দরবারে দোআ করি তিনি যেন আছিয়ার পিতা-মাতাসহ আপনজন নির্বিশেষে বিবেকবান দেশবাসীকে এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করেন।

তিনি বলেন, আছিয়ার এ করুণ পরিণতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আমাদের এ জনপদ শিশুদের জন্য কতটা অনিরাপদ। এই পাশবিক ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের সমাজে ও মস্তিষ্কে পচন ধরেছে। অবক্ষয় হয়েছে সামাজিক মূল্যবোধের। এ মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ এবং মস্তিষ্কের সংশোধন এখন একান্ত জরুরি। আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ বাংলাদেশকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে নিজ নিজ জায়গা থেকে সংশোধনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর অংশ হিসেবে ১৩ মার্চ ‘আছিয়া দিবস’ পালন করা যেতে পারে। যার মূল উদ্দেশ্য হবে শিশুদের সুরক্ষায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি। এর মাধ্যমে এমন সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে যেখানে শিশু, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষ থাকবে নিরাপদ।

তিনি আরও বলেন, মানুষ নামের যে পশুরা পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে নিষ্পাপ এ শিশুটির জীবনের আলো নিভিয়ে দিল আমি তাদের কঠিনতম ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। ধর্ষকদের এ শাস্তি সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। এমন শাস্তি কার্যকর করতে হবে যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ।

তিনি আরও বলেন, আসুন ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে এবং সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই যাতে আর কোনো আছিয়াকে এভাবে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে না হয়।

এই পাশবিক ঘটনার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদান এবং সেই সঙ্গে নিহত শিশুটির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য আমি সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন