ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় চা দিবস আজ

চা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। চাহিদার কারণে গত তিন শতাব্দীতে এর পাতার ধরণে পরিবর্তন এসেছে বিভিন্ন মহাদেশজুড়ে, কিন্তু এর আবেদন একই রয়ে গেছে। উটের কাফেলা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিপ্লব, এমনকি পারলৌকিক জীবনের অনুষঙ্গও এই চা এখন মানবজাতির জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। জাতীয় চা দিবস আজ।

১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়।

দেশে দিবসটি আজ দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ চা বোর্ড এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প’।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে চা শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণীতে বলেন, চা রপ্তানির অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বৃহদায়তন বাগানের পাশাপাশি সমতলে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দশকে দেশের উত্তরাঞ্চলে সমতলে চা আবাদে বিপ্লব ঘটেছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

ট্যাগ:-

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

এইচবিএল প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর: আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন অঙ্গীকার

জাতীয় চা দিবস আজ

প্রকাশিত সময়:- ০৯:৫৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২

চা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। চাহিদার কারণে গত তিন শতাব্দীতে এর পাতার ধরণে পরিবর্তন এসেছে বিভিন্ন মহাদেশজুড়ে, কিন্তু এর আবেদন একই রয়ে গেছে। উটের কাফেলা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিপ্লব, এমনকি পারলৌকিক জীবনের অনুষঙ্গও এই চা এখন মানবজাতির জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। জাতীয় চা দিবস আজ।

১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। তিনি ৪ জুন ১৯৫৭ থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়।

দেশে দিবসটি আজ দ্বিতীয়বারের মতো পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ চা বোর্ড এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প’।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সুদীর্ঘ ১৮০ বছর ধরে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে চা শিল্প গভীরভাবে জড়িয়ে আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণীতে বলেন, চা রপ্তানির অতীত ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বৃহদায়তন বাগানের পাশাপাশি সমতলে ক্ষুদ্রায়তন চা আবাদে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। গত দুই দশকে দেশের উত্তরাঞ্চলে সমতলে চা আবাদে বিপ্লব ঘটেছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন