ঢাকা ১০:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাকাতের টাকা মসজিদে দেওয়া যাবে কি?

  • ইসলাম ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়:- ০৪:২৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • 31

জাকাতের টাকা মসজিদের সাধারণ ফান্ডে দেওয়া যাবে না যা মসজিদ নির্মাণ বা ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হয়। মসজিদ নির্মাণের কাজে বা মসজিদের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার কাজে জাকাতের টাকা ব্যয় করলে জাকাত আদায় হবে না। তবে কোনো মসজিদে যদি দরিদ্রদের সহায়তার জন্য আলাদা জাকাত ফান্ড থাকে, তাহলে ওই ফান্ডে জাকাতের টাকা দেওয়া যাবে।

ইসলামে জাকাত দেওয়ার কিছু নির্দিষ্ট খাত আছে। জাকাতের টাকা ওই খাতগুলোতে ব্যয় করা জরুরি। জাকাত ব্যয়ের খাতগুলো বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন,

اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡهَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُهُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰهِ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ

নিশ্চয় সদকা হচ্ছে দরিদ্র ও অভাবীদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; তা বণ্টন করা যায় দাস আজাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা তওবা: ৬০)

এ আয়াত অনুযায়ী জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত আট শ্রেণির মানুষ হলেন:

১. ফকির; যার কিছুই নেই।
২. মিসকিন; যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই।
৩. জাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী।
৪. আর্থিক সংকটে থাকা নওমুসলিম।
৫. ক্রীতদাস। (মুক্ত হওয়ার জন্য)
৬. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি।
৭. আল্লাহর পথে জিহাদে রত ব্যক্তি।
৮. মুসাফির; স্বদেশে ধনী হলেও যিনি ভ্রমণকালে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
যাদের ওপর জাকাত ওয়াজিব

জাকাত ইসলামের ফরজ বিধান, ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক ও সম্পদশালী মুসলমান পুরুষ ও নারীর প্রতি বছর নিজের সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে জাকাত বলা হয়।

কেউ যদি এক বছর ধরে নেসাব পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পত্তি অর্থাৎ ৭ তোলা বা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ তোলা বা ৬১২.৩৫ গ্রাম রৌপ্যের মালিক থাকে অথবা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি স্বর্ণের মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ তার কাছে থাকে, তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে সে সম্পদশালী ব্যক্তি গণ্য হয় এবং তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হয়। নগদ অর্থ, স্বর্ণ/ রৌপ্য বা ব্যবসায়ের সম্পদ যেদিন নেসাব পর্যায়ে পৌঁছে, সেদিন থেকেই জাকাতের বর্ষগণনা শুরু হয়। জাকাতের বর্ষ পূর্ণ হওয়ার দিনে ওই ব্যক্তির মালিকানায় যে পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পদ অর্থাৎ নগদ অর্থ, ব্যবসায়ের সম্পদ, স্বর্ণ বা রৌপ্য থাকে, তার ৪০ ভাগের ১ ভাগ বা ২.৫ শতাংশ জাকাত হিসেবে দান করে দিতে হয়।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

এইচবিএল প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর: আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন অঙ্গীকার

জাকাতের টাকা মসজিদে দেওয়া যাবে কি?

প্রকাশিত সময়:- ০৪:২৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

জাকাতের টাকা মসজিদের সাধারণ ফান্ডে দেওয়া যাবে না যা মসজিদ নির্মাণ বা ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হয়। মসজিদ নির্মাণের কাজে বা মসজিদের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার কাজে জাকাতের টাকা ব্যয় করলে জাকাত আদায় হবে না। তবে কোনো মসজিদে যদি দরিদ্রদের সহায়তার জন্য আলাদা জাকাত ফান্ড থাকে, তাহলে ওই ফান্ডে জাকাতের টাকা দেওয়া যাবে।

ইসলামে জাকাত দেওয়ার কিছু নির্দিষ্ট খাত আছে। জাকাতের টাকা ওই খাতগুলোতে ব্যয় করা জরুরি। জাকাত ব্যয়ের খাতগুলো বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন,

اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡهَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُهُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰهِ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ

নিশ্চয় সদকা হচ্ছে দরিদ্র ও অভাবীদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; তা বণ্টন করা যায় দাস আজাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। (সুরা তওবা: ৬০)

এ আয়াত অনুযায়ী জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত আট শ্রেণির মানুষ হলেন:

১. ফকির; যার কিছুই নেই।
২. মিসকিন; যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই।
৩. জাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী।
৪. আর্থিক সংকটে থাকা নওমুসলিম।
৫. ক্রীতদাস। (মুক্ত হওয়ার জন্য)
৬. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি।
৭. আল্লাহর পথে জিহাদে রত ব্যক্তি।
৮. মুসাফির; স্বদেশে ধনী হলেও যিনি ভ্রমণকালে অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
যাদের ওপর জাকাত ওয়াজিব

জাকাত ইসলামের ফরজ বিধান, ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক ও সম্পদশালী মুসলমান পুরুষ ও নারীর প্রতি বছর নিজের সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র-দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণের নিয়মকে জাকাত বলা হয়।

কেউ যদি এক বছর ধরে নেসাব পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পত্তি অর্থাৎ ৭ তোলা বা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ তোলা বা ৬১২.৩৫ গ্রাম রৌপ্যের মালিক থাকে অথবা ৮৭.৪৫ গ্রাম বা এর বেশি স্বর্ণের মূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ তার কাছে থাকে, তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে সে সম্পদশালী ব্যক্তি গণ্য হয় এবং তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হয়। নগদ অর্থ, স্বর্ণ/ রৌপ্য বা ব্যবসায়ের সম্পদ যেদিন নেসাব পর্যায়ে পৌঁছে, সেদিন থেকেই জাকাতের বর্ষগণনা শুরু হয়। জাকাতের বর্ষ পূর্ণ হওয়ার দিনে ওই ব্যক্তির মালিকানায় যে পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পদ অর্থাৎ নগদ অর্থ, ব্যবসায়ের সম্পদ, স্বর্ণ বা রৌপ্য থাকে, তার ৪০ ভাগের ১ ভাগ বা ২.৫ শতাংশ জাকাত হিসেবে দান করে দিতে হয়।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন