ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুত্বর আহত মা

ছবি : লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত জিন্না বেগমের আঘাতের দাগ।

 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

লালমনিহাটের হাতীবান্ধায় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দেবর শাহিনুর ইসলামের লাঠির আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাছেন মা জিন্না বেগম (৪০)।

০৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে ওই উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়া ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে (১০ এপ্রিল) শাহিনুর ইসলাম ( ৩৫)কে প্রধান আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জিন্না বেগম।
গুরুতর আহত জিন্না বেগম, শাহিনুর ইসলামের বড় ভাই জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জিন্না আক্তারে ননদ আরজিনা বেগমের সাথে দেবর শাহিনুরের পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাথাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে জিন্না আক্তারের বড়ছেলে হ্রদয় ফুপুর পক্ষ নিলে চাচা শাহিনুর লাঠি দিয়ে হ্রদয়কে মারতে যায়। সে সময় ছেলে হ্রদয়কে বাঁচাতে গেলে দেবর শাহিনুর ভাবীকে এলোপাতারি মারতে থাকে। মারধরের এক পর্যয়ে জিন্না আক্তার জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ছেলে হ্রদয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য উপজেলা কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন।
সংবাদ প্রকাশ পর্যন্ত জিন্না আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গুরুতর আহত জিন্না আক্তার বলেন, আমার দেবর শাহিনুর কোন মানুষ না সে একটা জানোয়ার। কোন মানুষ মহিলাকে এভাবে মারতে পারে। আমার জায়গায় ছেলে হ্রদয় হলে তাকে তো সে মেরেই ফেলতো।
বদরাগী দেবর শাহিনুরের আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দাবী করেন ভুক্তভুগি জিন্না আক্তার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহিনুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার ভাতিজাকে লাঠি দিয়ে মারতে গেছিলাম কিন্তু কিভাবে যে ভাবীর গায়ে আঘাত লাগলো বুঝতে পারিনি।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলমান আছে দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

 

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুত্বর আহত মা

প্রকাশিত সময় :- ০৫:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২
 
   NewsBijoy24.Com সর্বশেষ খবর পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।

লালমনিহাটের হাতীবান্ধায় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দেবর শাহিনুর ইসলামের লাঠির আঘাতে গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাছেন মা জিন্না বেগম (৪০)।

০৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে ওই উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়া ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে (১০ এপ্রিল) শাহিনুর ইসলাম ( ৩৫)কে প্রধান আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জিন্না বেগম।
গুরুতর আহত জিন্না বেগম, শাহিনুর ইসলামের বড় ভাই জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জিন্না আক্তারে ননদ আরজিনা বেগমের সাথে দেবর শাহিনুরের পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাথাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে জিন্না আক্তারের বড়ছেলে হ্রদয় ফুপুর পক্ষ নিলে চাচা শাহিনুর লাঠি দিয়ে হ্রদয়কে মারতে যায়। সে সময় ছেলে হ্রদয়কে বাঁচাতে গেলে দেবর শাহিনুর ভাবীকে এলোপাতারি মারতে থাকে। মারধরের এক পর্যয়ে জিন্না আক্তার জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ছেলে হ্রদয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য উপজেলা কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন।
সংবাদ প্রকাশ পর্যন্ত জিন্না আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গুরুতর আহত জিন্না আক্তার বলেন, আমার দেবর শাহিনুর কোন মানুষ না সে একটা জানোয়ার। কোন মানুষ মহিলাকে এভাবে মারতে পারে। আমার জায়গায় ছেলে হ্রদয় হলে তাকে তো সে মেরেই ফেলতো।
বদরাগী দেবর শাহিনুরের আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দাবী করেন ভুক্তভুগি জিন্না আক্তার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহিনুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার ভাতিজাকে লাঠি দিয়ে মারতে গেছিলাম কিন্তু কিভাবে যে ভাবীর গায়ে আঘাত লাগলো বুঝতে পারিনি।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলমান আছে দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।