চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিসকর্মী।
এছাড়া দগ্ধ ও আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ শতাধিক। আহতদের মধ্যে শ্রমিক, পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ফলে হাসপাতালে দেখা দিয়েছে ওষুধ সংকট। এ অবস্থায় আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অগ্নিদগ্ধদের জরুরি চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য।
হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, রাত বাড়ার সঙ্গে একের পর এক গুরুতর আহতদের আনা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহতদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় জরুরি বিভাগে তাদের নাম তালিকাভুক্ত না করেই আঘাত অনুসারে তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি কেএম তানভীর বলেন, ইতোমধ্যে ৪০০-এর বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। ২২০০ বেডের এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্স নেই। এ কারণে যারা মেডিকেলে পড়ছেন, মেডিকেল জ্ঞান আছে, তারাও এসেছেন চিকিৎসকদের সহায়তা করতে। রোগীদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করছেন তারা। এরপরও আমরা সেবা দিয়ে পারছি না।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, ছুটিতে থাকা সব চিকিৎসক-নার্সকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এতো সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার মতো পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত নেই। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ, স্যালাইন, পেইন কিলার নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ করছি সবাইকে। সেই সঙ্গে আশপাশের উপজেলা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক আনা হয়েছে। তবু চিকিৎসা দিয়ে পেরে উঠছি না আমরা।
চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব পালিত বলেন, দগ্ধদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। এজন্য রক্ত চেয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। আশপাশের সবাইকে হাসপাতালে এসে রক্ত দিয়ে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।