চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষার পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর কর হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ রবিবার (৫ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) চকবাজার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সবগুলো মরদেহ ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ডিএনএ নমুনা নেয়া হবে। পরিচায় নিশ্চিত না হয়ে মরদেহ হস্তান্তর হবে না। সিএমপি কমিশনার আমাদের এ নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রায় চার শতাধিক।
নিহতের মধ্যে সাতজনের পরিচায় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যান্টেনডেন্টস মো. মনিরুজ্জামান (৩২), নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার আব্দুল রশিদের ছেলে ফায়ার সার্ভিসকর্মী আলা উদ্দিন (৩৬), বাঁশখালী উপজেলার চনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের বাসিন্দা মমিনুল হক (২৪), একই উপজেলার নানুপুর এলাকার মাহমুদুর রহমানের ছেলে মো. মহিউদ্দীন, ভোলা জেলার হাবিবুর রহমান (২৬), রবিউল আলম (১৯), ডিপোর ফ্রক অপারেটর বাঁশখালীর হাসান আলীর ছেলে তোফায়েল আহমেদ (২২)।
শনিবার (৪ জুন) রাত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সবশেষ খবর অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে।