ভারতের অন্ধ্র উপকূল ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ পশ্চিম উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে গত সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও দেশের পাঁচ বিভাগে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরে আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অশনি বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। তবে অশনির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে দেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অশনি সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। কেন্দ্রের আশপাশের এলাকার সাগর খুব উত্তাল রয়েছে। এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।