ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণ করে দেওয়াসহ যা যা প্রয়োজন সব করে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শেষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা আছে বলেই দেশে উন্নতি হচ্ছে। ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। আর ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এসেছে বলেই এই উপকূলীয় অঞ্চলে শান্তি এসেছে। অনেকেই ক্ষমতায় ছিল কিন্তু কেউ তা পারেনি। এই অঞ্চলের বাংলাদেশের কেউ ভূমিহীন থাকবে না। উপকূলীয় অঞ্চলে সবাইকে ঘর করে দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের দেওয়া কোনো বাড়ি নষ্ট হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট-বাঁধ মেরামত শুরু হয়ে গেছে। আমরা উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেবে। যাতে কোনো দুর্যোগে সেগুলো নষ্ট না হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দল ও সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে। সব ধরনের সহযোগিতা দেবে সরকার। অতীতে এমন দুর্যোগ হয়েছে কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দুর্যোগ আসবেই কিন্তু তা মোকাবিলা করে টিকে থাকার সামর্থ অর্জন করতে হবে। সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে সমসময় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে কৃষকদের ক্ষতিপূরণে সার-বীজসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেওয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বেলা পৌনে ১২টার দিকে পটুয়াখালী পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে রাত থেকে ২৭ মে শেষ রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এর প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে দেশের বিভিন্ন জেলার মতো উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পটুয়াখালী জেলায় ৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২৩৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১ হাজার ৮৬৫টি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি খাতে ২৬ কোটি টাকা এবং মৎস্য খাতে ২৮ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়।

আরও পড়ুন>>সিলেটে ৫ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

মোবাইলে কথা বলার ওপর শুল্ক-কর কমানোর সুপারিশ

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত সময়:- ০২:২৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণ করে দেওয়াসহ যা যা প্রয়োজন সব করে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শেষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা আছে বলেই দেশে উন্নতি হচ্ছে। ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। আর ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এসেছে বলেই এই উপকূলীয় অঞ্চলে শান্তি এসেছে। অনেকেই ক্ষমতায় ছিল কিন্তু কেউ তা পারেনি। এই অঞ্চলের বাংলাদেশের কেউ ভূমিহীন থাকবে না। উপকূলীয় অঞ্চলে সবাইকে ঘর করে দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের দেওয়া কোনো বাড়ি নষ্ট হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট-বাঁধ মেরামত শুরু হয়ে গেছে। আমরা উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেবে। যাতে কোনো দুর্যোগে সেগুলো নষ্ট না হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দল ও সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে। সব ধরনের সহযোগিতা দেবে সরকার। অতীতে এমন দুর্যোগ হয়েছে কিন্তু কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। দুর্যোগ আসবেই কিন্তু তা মোকাবিলা করে টিকে থাকার সামর্থ অর্জন করতে হবে। সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে সমসময় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে কৃষকদের ক্ষতিপূরণে সার-বীজসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেওয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বেলা পৌনে ১২টার দিকে পটুয়াখালী পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে রাত থেকে ২৭ মে শেষ রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এর প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে দেশের বিভিন্ন জেলার মতো উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পটুয়াখালী জেলায় ৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২৩৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১ হাজার ৮৬৫টি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি খাতে ২৬ কোটি টাকা এবং মৎস্য খাতে ২৮ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়।

আরও পড়ুন>>সিলেটে ৫ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন