ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে মার্কিন পার্লামেন্ট ভবনে ইহুদিদের বিক্ষোভ

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েল সরকারকে চাপ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে খোদ ইহুদিরা। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন- ক্যাপিটল হিলে এক বিক্ষোভ থেকে তারা এই আহ্বান জানান। ইহুদিসহ বহু মানুষ ওই বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীদের অনেকের কালো টি-শার্ট পরা ছিল।

টি-শার্টে ‘ইহুদিরা এখনই যুদ্ধবিরতি চায়’, ‘আমাদের নামে (যুদ্ধ) নয়’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা ছিল। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইহুদিদের কেউ কেউ ঐতিহ্যবাহী ‘কিপ্পাহ’ টুপি পরে এসেছিলেন।

রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্র্যান্ডন উইলিয়ামস ইসরায়েলের পতাকা উড়িয়ে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের প্রতি সংহতি জানান।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল জিউশ ভয়েস ফর পিস নামে ইহুদিদের একটি সংগঠন।

ফিলাডেলফিয়া থেকে বিক্ষোভে অংশ নিতে এসেছিলেন ৭১ বছর বয়সী লিন্ডা হল্টজম্যান। বাইডেনের উদ্দেশে লিন্ডা বলেছেন, ‘চোখ খুলে দেখুন। যুদ্ধবিরতির জন্য অবিলম্বে উদ্যোগ নিন। ’

৩২ বছর বয়সী হান্নাহ লরেন্সের বাড়ি ভারমন্টে। তিনি বলেন, ইসরায়েল সরকারকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে সক্ষম বর্তমান বিশ্বে এমন একমাত্র ব্যক্তি হলেন বাইডেন। এ কারণে অসহায় মানুষদের জীবন বাঁচানোর জন্য বাইডেনের শক্তি প্রয়োগ করা উচিত।

বিক্ষোভে অংশ নেন ক্যানন রোতুন্দা। তাঁর হাতে ছিল ব্যানার। দেন যুদ্ধবিরোধী স্লোগান। ক্যানন বলেছেন, বিক্ষোভ থেকে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ব্যানার খুলে ফেলছে। কয়েকজনকে হাতকড়া পরিয়েও নিয়ে যেতে দেখা যায়।

পরে ইউএস ক্যাপিটল পুলিশের পক্ষ থেকে এক্স (টুইটার) বার্তায় বলা হয়, ‘আমরা বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের বিক্ষোভ থামাতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা শোনেননি। কংগ্রেস ভবনে বিক্ষোভ চালিয়ে যান তাঁরা। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ সংঘাতে দুই পক্ষের চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

দেশে গুম হওয়াদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি

গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে মার্কিন পার্লামেন্ট ভবনে ইহুদিদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত সময় :- ১১:৩৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েল সরকারকে চাপ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে খোদ ইহুদিরা। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন- ক্যাপিটল হিলে এক বিক্ষোভ থেকে তারা এই আহ্বান জানান। ইহুদিসহ বহু মানুষ ওই বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীদের অনেকের কালো টি-শার্ট পরা ছিল।

টি-শার্টে ‘ইহুদিরা এখনই যুদ্ধবিরতি চায়’, ‘আমাদের নামে (যুদ্ধ) নয়’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা ছিল। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইহুদিদের কেউ কেউ ঐতিহ্যবাহী ‘কিপ্পাহ’ টুপি পরে এসেছিলেন।

রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্র্যান্ডন উইলিয়ামস ইসরায়েলের পতাকা উড়িয়ে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের প্রতি সংহতি জানান।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল জিউশ ভয়েস ফর পিস নামে ইহুদিদের একটি সংগঠন।

ফিলাডেলফিয়া থেকে বিক্ষোভে অংশ নিতে এসেছিলেন ৭১ বছর বয়সী লিন্ডা হল্টজম্যান। বাইডেনের উদ্দেশে লিন্ডা বলেছেন, ‘চোখ খুলে দেখুন। যুদ্ধবিরতির জন্য অবিলম্বে উদ্যোগ নিন। ’

৩২ বছর বয়সী হান্নাহ লরেন্সের বাড়ি ভারমন্টে। তিনি বলেন, ইসরায়েল সরকারকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে সক্ষম বর্তমান বিশ্বে এমন একমাত্র ব্যক্তি হলেন বাইডেন। এ কারণে অসহায় মানুষদের জীবন বাঁচানোর জন্য বাইডেনের শক্তি প্রয়োগ করা উচিত।

বিক্ষোভে অংশ নেন ক্যানন রোতুন্দা। তাঁর হাতে ছিল ব্যানার। দেন যুদ্ধবিরোধী স্লোগান। ক্যানন বলেছেন, বিক্ষোভ থেকে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ব্যানার খুলে ফেলছে। কয়েকজনকে হাতকড়া পরিয়েও নিয়ে যেতে দেখা যায়।

পরে ইউএস ক্যাপিটল পুলিশের পক্ষ থেকে এক্স (টুইটার) বার্তায় বলা হয়, ‘আমরা বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের বিক্ষোভ থামাতে বলেছিলাম। কিন্তু তাঁরা শোনেননি। কংগ্রেস ভবনে বিক্ষোভ চালিয়ে যান তাঁরা। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ সংঘাতে দুই পক্ষের চার হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

নিউজবিজয়/এফএইচএন