খুলনায় জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বটিয়াঘাটা থানার সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনিরুজ্জামান (যুগ্ম মহানগর-২) জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদক খুলনার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মুজিবর রহমান বলেন, জামিনের মেয়াদ শেষ হলে সাবেক ওসি ও তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন তারা। উচ্চ আদালত তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, মামলায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৪ লাখ টাকার দুর্নীতি ধরা পড়লেও তদন্তে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিকের আরো প্রায় ৫১ কোটি টাকার অবৈধ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি পাওয়া গেছে। যা মামলার এজাহারে সম্পৃক্ত হবে।
এর আগে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর দুদক খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আল আমিন।
পুলিশ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক খুলনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চুলকাঠি এলাকায়।
জানা যায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৪ সালের দুদক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়।