দিঘলিয়ায় সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিং দ্রুত দায় সারতে চান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স চুকনগর ট্রেডার্স । দিঘলিয়া উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়ন এর সুগন্ধি চার রাস্তার মোড় থেকে সেনহাটি পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত ১৪০৭ মিটার দৈর্ঘ্য সড়কের কার্পেটিং এর কাজ চলমান থাকা অবস্থায় একাধিক অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজ শেষ করে দায় এড়াতে চায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স চুকনগর ট্রেডার্স এ ঘটনায় পুরো দিঘলিয়া জুড়ে টনক নড়ে উঠেছে। কাজের অনিয়ম ও নিম্নমানের কার্পেটিং দেখে এলাকা বাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন উচ্চ মহলে বিষয়টি অবগত করলে দিঘলিয়া উপজেলা এল জিইডি প্রধান প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং কিছু গণমাধ্যম কর্মী ও উক্ত রাস্তা সরেজমিনে দেখতে যান, এমনকি বিষয় টি দিঘলিয়া উপজেলার দায়িত্বে থাকা যৌথ বাহিনীর একটি টিম উক্ত রাস্তাটি পরিদর্শন করেন । তবে ঐ রাস্তার দেখবাল করার জন্য ইঞ্জিনিয়ার অফিস যে এস ও কে দায়িত্ব দিয়েছেন তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। কাজের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় বেশ কিছুদিন উক্ত কাজ বন্ধ রাখেন। ইঞ্জিনিয়ার অফিস কিন্তু সেই সড়ক এর কাজ আবারও চালু হয়েছে কিন্তু কাজ চালু করেই দ্রুত দায় সারতে চান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এবিষয়ে উপজেলা এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী আবু তারক সাইফুল কামাল সাংবাদিক দের জানানা গত বছর অর্থাৎ ২৩ সালের জুন মাসে উক্ত কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও তা হয়নি তবে তিনি কোন প্রকার নিম্নমানের কাজ মেনে নেবেন না বলে ও জানান। এবিষয়ে কাজের এস ও মো: এনামুল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা যায় নি। ৭৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮ টাকা ২৫ পয়সা বাজেটের কাজ টি এখন যেন দায় এড়াতে ব্যস্ত সবাই তবে কাজের স্থানে নাইস পিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার না পাওয়া গেলেও সেখানে দেখা যায় দিঘলিয়ার বাসিন্দা আসাদ খামারী দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজ করছে। অপর দিকে আসাদ খামারী বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের দাপটে চলে আসছিল, বর্তমানে দেশের যখন সর্ব দিক দিয়ে সংস্কার প্রয়োজন ঠিক সেই মুহূর্তে উক্ত আসাদ খামারি তাদের দালান চক্র দিয়ে বিভিন্ন ভাবে নামে মাত্র কাজ উঠানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে । এমত অবস্থায় কিছু অসাধু নামধারী গণমাধ্যম কর্মী উক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক লেনদেন করে তাদের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করেছে বলেও কল রেকর্ড পাওয়া গেছে, সেই সংবাদ এ উল্লেখ করা হয় কাজের মান ভালো ,তাহলে ইঞ্জিনিয়ার অফিস, যৌথ বাহিনী, দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ কেন গিয়েছিল। অপর দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত সড়ক এর কাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও আসাদ খামারি মিলে এমনভাবে তড়িঘড়ি করে উঠাচ্ছে যা দিঘলিয়ার ইতিহাসে সর্বনিম্ন মানের কাজ। কোথাও নেই ফিনিশিং নেই বিট মিন, নেই ব্রাশ করা, শুধু মাটিতে কোন রকম পিচ ঢেলে টেনে সমান করার চেষ্টা মাএ, রোলার নামে মাএ, ৮ ফিট রাস্তার কোথাও কোথাও ১/২ ইঞ্চি কম, থিকনেস ২৫ মিলি হবে তবে ১৪০৭ মিটার দৈর্ঘ্য সড়কের অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে কার্পেটিং কম আছে। বিগত দিনে ও আসাদ খামারীর দায়িত্বে থাকা বহু কাজের মান খারাপ এর রেকর্ড রয়েছে।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন