খুলনার ফুলতলা উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। একই সময় হামলায় তার দুই সহযোগী গুলিবিদ্ধ হন।
শুক্রবার রাত সোয়া আটটার দিকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাজঘাট এলাকায় একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ তিনজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ তিন ব্যক্তি হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা মোল্যা হেদায়েত হোসেন ওরফে লিটু (৫০), যুবলীগ নেতা খায়রুজ্জামান সবুজ (৩২) এবং যুবলীগ কর্মী নাছিম ভুঁইয়া (২৮)। হেদায়েত হোসেন ফুলতলার তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। খায়রুজ্জামান দামোদর গ্রামের বাসিন্দা। নাছিম ভুঁইয়ার বাড়িও একই গ্রামে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হেদায়েত হোসেনের পেটের ওপরের দিকে, খায়রুজ্জামানের মুখে ও তলপেটে এবং নাছিম ভুঁইয়ার ডান হাতে গুলি লেগেছে।
অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস বলেন, রাজঘাটে চায়ের দোকানে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কী কারণে এবং কারা গুলি করেছে, এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তারা ঘটনাস্থলে আছেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আজ রাত সাড়ে সাতটার দিকে হেদায়েত হোসেন, খায়রুজ্জামান ও নাছিম মোটরসাইকেলে করে ফুলতলা থেকে পার্শ্ববর্তী অভয়নগর উপজেলার রাজঘাটে আসেন। তাঁরা রাজঘাট বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি চায়ের দোকানে চান পান করেন। এরপর আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলে করে দুই ব্যক্তি সেখানে আসেন। তাঁদের মাথায় হেলমেট পরা ছিল। তাঁরা এসেই তিনজনকে লক্ষ করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান।
গুলি হেদায়েত হোসেনের পেটের ওপরের দিকে বাঁ পাশে, খায়রুজ্জামানের মুখে ও তলপেটে এবং নাছিম ভুঁইয়ার ডান হাতে লাগে। গুলির শব্দে স্থানীয় লোকজন সেখানে এগিয়ে আসেন। এরপর তিনজনকে উদ্ধার করে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ফুলতলা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। হেদায়েত হোসেন লিটুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলটি অভয়নগর থানার মধ্যে হওয়ায় সেখানে এ বিষয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃণাল হাজরা বলেন, তিনজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিউজ বিজয় ২৪/এফএইচএন।