ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে দই খেয়ে ১ জনের মৃত্যু ৬ জন হাসপাতালে

কুড়িগ্রামের উলিপুরে দই খেয়ে একজনের মৃত্যু ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের মধুপুর বামনের হাটে।
স্হানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২ আগষ্ট চা ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম (৪০) বাজার থেকে দুধ কিনে পরের দিন চা তৈরির জন্য দুধ রেখে দেন। পরদিন দোকানে এসে তিনি দেখেন দুধ জমে দইয়ে পরিনত হয়েছে।এরপর কয়েকজন মিলে ওইদিন রাতে চিড়া দিয়ে ওই দই খান। দই খাওযার পর একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
স্হানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২ আগষ্ট চা ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম (৪০) বিকেলে বাজার থেকে দুধ কিনে পরের দিন চা তৈরির জন্য দুধ রেখে দেন। পরদিন দোকানে এসে তিনি দেখেন দুধ জমে দইয়ে পরিনত হয়েছে।এরপর কয়েকজন মিলে ওইদিন রাতে চিড়া দিয়ে ওই দই খান। দই খাওযার পর একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসুস্থ ব্যক্তিরা হলেন, কিশামত মধুপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র চা ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম (৪০) দক্ষিণ মধুপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র শাহ আলম (৬৩), মৃত রমজান আলীর পুত্র আমিনুল ইসলাম (৪০), রাজ চন্দ্রের পুত্র বিনয় কুমার হাজারি (৩০), কিশামত মধুপুর গ্রামের মৃত কেরামত আলীর পুত্র বলু মিয়া (৪৫), মৃত পটল চন্দ্র বর্মনের পুত্র দীনেশ চন্দ্র (৪৮), আব্দুল মজিদের পুত্র ছকিয়ত আলী (৩৫)গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাদেরকে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে শাহ আলমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠায়, পরে শাহ আলমের অবস্থা আশংকা জনক হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার রাত ১টা ৩০ মিনিটের সময় শাহ আলম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বর্তমানে চা ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম, দীনেশ চন্দ্র কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও আমিনুল ইসলাম, বলু মিয়া, বিনয় কুমার হাজারী ও ছকিয়ত আলী নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছে ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খাদ্য বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি ভালো করে জানার জন্য ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক এর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুড়িগ্রামে দই খেয়ে ১ জনের মৃত্যু ৬ জন হাসপাতালে

"নিউজ বিজয়: এক দশকের মাইলফলক" প্রকাশিত সময় : ০৫:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ অগাস্ট ২০২২

কুড়িগ্রামের উলিপুরে দই খেয়ে একজনের মৃত্যু ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের মধুপুর বামনের হাটে।
স্হানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২ আগষ্ট চা ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম (৪০) বাজার থেকে দুধ কিনে পরের দিন চা তৈরির জন্য দুধ রেখে দেন। পরদিন দোকানে এসে তিনি দেখেন দুধ জমে দইয়ে পরিনত হয়েছে।এরপর কয়েকজন মিলে ওইদিন রাতে চিড়া দিয়ে ওই দই খান। দই খাওযার পর একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
স্হানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২ আগষ্ট চা ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম (৪০) বিকেলে বাজার থেকে দুধ কিনে পরের দিন চা তৈরির জন্য দুধ রেখে দেন। পরদিন দোকানে এসে তিনি দেখেন দুধ জমে দইয়ে পরিনত হয়েছে।এরপর কয়েকজন মিলে ওইদিন রাতে চিড়া দিয়ে ওই দই খান। দই খাওযার পর একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসুস্থ ব্যক্তিরা হলেন, কিশামত মধুপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র চা ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম (৪০) দক্ষিণ মধুপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র শাহ আলম (৬৩), মৃত রমজান আলীর পুত্র আমিনুল ইসলাম (৪০), রাজ চন্দ্রের পুত্র বিনয় কুমার হাজারি (৩০), কিশামত মধুপুর গ্রামের মৃত কেরামত আলীর পুত্র বলু মিয়া (৪৫), মৃত পটল চন্দ্র বর্মনের পুত্র দীনেশ চন্দ্র (৪৮), আব্দুল মজিদের পুত্র ছকিয়ত আলী (৩৫)গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাদেরকে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে শাহ আলমের অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠায়, পরে শাহ আলমের অবস্থা আশংকা জনক হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার রাত ১টা ৩০ মিনিটের সময় শাহ আলম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বর্তমানে চা ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম, দীনেশ চন্দ্র কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও আমিনুল ইসলাম, বলু মিয়া, বিনয় কুমার হাজারী ও ছকিয়ত আলী নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছে ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খাদ্য বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকজন অসুস্থ হওয়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি ভালো করে জানার জন্য ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক এর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন।

নিউজবিজয়/এফএইচএন