মাদ্রাসা ছাত্র জবাই করে হত্যার চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার দিনগত রাত ১০ টার দিকে রৌমারী সদর হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার নায়ক কেবা কাহারা তা এখন শনাক্ত করতে পারেননি রৌমারী থানাঃ পুলিশ । তবে সুত্রে জানা গেছে অপরিচিত ৩ জন লোক রাত ১০ টার দিকে মাদ্রাসার ছাত্র মেহেদী হাসান ১৫ কে ডেকে নেয়া হয়। কাছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৩ জন অপরিচিতর মধ্যে দুইজন দইহাত ধরে ফেলে বাকি একজন মেহেদীর গোলায় চুরি চালায়। জবাই করে
পরিকল্পিতরা ভেবেছিলেন মেহেদী হাসান মারা গেছে। পরে জবাই শেষে মৃত্যু ভেবে ফেলে যায় মাদ্রাসার নতুন নির্মানাধীন ভবনের মাঝে।
পরে মেহেদী হাসান জীবিত ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায় হাফিজিয়া মাদ্রাসার লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ডাঃ রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফার্ড করে দেন। এলাকা সুত্রে জানা গেছে মাদ্রাসার ছাত্র মেহেদী হাসান রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী পশ্চিম পাড়া গ্রামের তারা মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের বরাত দিয়ে জানা গেছে মেহেদী হাসান প্রায় ২০/২২ দিন আগে রৌমারী সদর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। ভর্তি হওয়ার ২০ দিনের মাথায় এমন ঘটনাটি ঘটলো। তবে রৌমারী উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে প্রতিনিয়ত খুনখারাপি প্রায়ই ঘটেই চলছে এবং খুন করে পার পেয়েও যাচ্ছে অনেকেই। যার ফলে দিন দিন খুনখারাপি বেড়েই চলছে।
এবিষয়ে রৌমারী থানাঃ ইনচার্জ মোনতাছের বিল্লাহ জানান মাদ্রাসার ছাত্রকে গোলা কেটে হত্যার চেষ্টা এঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।