ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান-ইসরাইল সংঘাত

কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, জনমনে ফের আতঙ্ক

কুড়িগ্রামে সম্প্রতি বন্যায় জনমনে রেখে যাওয়া দগদগে ক্ষতকে উসকে দিতে জেলার ধরলা দুধকুমার তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের বুকে আবারও ধেয়ে আসছে উজানের ঢল। এতে আবারও প্লাবিত হচ্ছে নদীতীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা। ডুবে যাচ্ছে বীজতলা ও ফসলের মাঠ।

কয়েক দিন আগে বয়ে যাওয়া বন্যার ধকল না কাটতেই আবারও জেলার সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরবাসীর মনে আতঙ্ক, এবার কী করবেন, কোথায় যাবেন? কীভাবে কাঠিয়ে উঠবেন সব ক্ষতি?

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপৎসীমা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে শুধু ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আস্তে আস্তে ধরলার পানিও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

জানা গেছে, গত বন্যায় ডুবে যাওয়া ফসলের মাঠ ডুবে ৮০ হাজার কৃষকের প্রায় ১২৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষকের এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটতে না কাটতে আবারও শুরু হয়েছে বন্যার বিধ্বংসী আচরণ। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা।

সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের প্রথম আলো চরের কৃষক আতাউর রহমান বলেন, গত বন্যায় পাট, সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে। এখন বীজতলা করেছি, সেটাও পানিতে ডুবে গেল। তিন-চার দিন যদি এই পানি থাকে, তাহলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।

সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের মাছচাষি খডু মিয়া বলেন, আমার পুকুর গতবার তলিয়ে প্রায় অর্ধেকের বেশি মাছ বের হয়ে গেছে। আবারও যদি বন্যা হয়, তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আব্দুল মজিদ জানান, পানি শুকাতে না শুকাতেই আবারও ধরলার পানি বৃদ্ধির ফলে আমার এখানে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বর্তমানে বড় কোনো ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

ট্যাগ:-

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার মা-বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

No description available.

কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, জনমনে ফের আতঙ্ক

প্রকাশিত সময়:- ১২:১৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২

কুড়িগ্রামে সম্প্রতি বন্যায় জনমনে রেখে যাওয়া দগদগে ক্ষতকে উসকে দিতে জেলার ধরলা দুধকুমার তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের বুকে আবারও ধেয়ে আসছে উজানের ঢল। এতে আবারও প্লাবিত হচ্ছে নদীতীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা। ডুবে যাচ্ছে বীজতলা ও ফসলের মাঠ।

কয়েক দিন আগে বয়ে যাওয়া বন্যার ধকল না কাটতেই আবারও জেলার সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরবাসীর মনে আতঙ্ক, এবার কী করবেন, কোথায় যাবেন? কীভাবে কাঠিয়ে উঠবেন সব ক্ষতি?

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপৎসীমা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে শুধু ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আস্তে আস্তে ধরলার পানিও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

জানা গেছে, গত বন্যায় ডুবে যাওয়া ফসলের মাঠ ডুবে ৮০ হাজার কৃষকের প্রায় ১২৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষকের এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটতে না কাটতে আবারও শুরু হয়েছে বন্যার বিধ্বংসী আচরণ। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা।

সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের প্রথম আলো চরের কৃষক আতাউর রহমান বলেন, গত বন্যায় পাট, সবজিখেতের ক্ষতি হয়েছে। এখন বীজতলা করেছি, সেটাও পানিতে ডুবে গেল। তিন-চার দিন যদি এই পানি থাকে, তাহলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।

সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের মাছচাষি খডু মিয়া বলেন, আমার পুকুর গতবার তলিয়ে প্রায় অর্ধেকের বেশি মাছ বের হয়ে গেছে। আবারও যদি বন্যা হয়, তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আব্দুল মজিদ জানান, পানি শুকাতে না শুকাতেই আবারও ধরলার পানি বৃদ্ধির ফলে আমার এখানে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বর্তমানে বড় কোনো ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।

নিউজবিজয়/এফএইচএন