কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
আহতদের মধ্যে আটজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২ মে) ইফতারির আগে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাস এবং ফজলু মণ্ডল গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিরা হচ্ছেন-মৃত হোসেন আলীর ছেলে কাশেম (৫০), দাদি মণ্ডলের ছেলে লাল্টু (৩০), আব্দুল মালিথার ছেলে রহিম (৫০) ও আফজাল মণ্ডলের ছেলে মতিয়ার (৪০)।
সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ওই চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) খায়রুল আলম দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত চারজনের মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখাছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কেরামত ও ফজলু মন্ডল গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেলে কেরামত ও ফজলু মন্ডল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ফজলু মন্ডলের সমর্থক লাল্টু, মতিয়ার ও কাশেমসহ মোট চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন কয়েকজন। নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলমের মুঠোফোন বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান রতন বলেন, আমি ঈদের ছুটিতে আছি। দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কেরামত ও ফজলু গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বিকেলের দিকে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।