কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে কাঁচা,পাকা ছোট বড় প্রায় ৭৫টি রাস্তার যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহালদশা হয়ে পড়েছে। ভারতের আসাম প্রদেশ থেকে নেমে আসা পাহাদড়ী ঢল ব্রক্ষ্মপুত্র নদ দিয়ে বয়ে এসে রৌমারী উপজেলার প্রায় সব কাঁচাপাকা রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়াসহ সড়কে খালখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের হাজার,হাজার জনগণ।
ক্ষতিগ্রস্ত সকড়গুলো দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভাঙ্গাচুরা রাস্তা গুলোর মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়ায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের যানবাহন ও জনসাধারণের যোগাযোগে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিনই ৬টি ইউনিয়নের মানুষ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সরকারী বিভিন্ন সেবা ও সহযোগীতা হাট-বাজারের কাজে আসতে হয় রৌমারী উপজেলা সদরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১নং দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নে ১৫টি রাস্তা ৪০ কি.মি., ২নং শৌলমারী ইউনিয়নে ১১টি রাস্তা ৫৪কি.মি.,৩নং বন্দবেড় ইউনিয়নে ৮টি রাস্তা, ২৯ কি.মি., ৪নং রৌমারী সদর ইউনিয়নের ১৩টি রাস্তা ২৬কি.মি., ৫নং যাদুরচর ইউনিয়নে ১৬টি রাস্তা ৪৫কি.মি.,৬নং চর শৌলমারী ইউনিয়নে ১৩টি রাস্তা ৪৪কি.মি. ইউনিয়নের গ্রামীণ গুরত্বপূর্ণ কাঁচা-পাকা ছোট, বড় ৭৫ টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে গুরত্বপূর্ণ ও চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে কাঁচা পাকা মিলে প্রায় ২০০শত ৩০ কি.মি. রাস্তা।
১নং দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের
খেতারচর গ্রামের মো.সিরাজুল ইসলাম,আবুল কালাম ও চরগয়টা পাড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিন জানান দাঁতভাঙ্গা বাজার হতে পর্ব দিকে ধর্মপুর পর্যন্ত কাঁচা পাকা ২কি.মি.। ঝগড়ারচর ডিসি রোড় হতে পূর্বদিকে কাউয়ারচর পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, ঝগড়ারচর ডিসি রোড় কুড়ারমোড় হতে কাউয়ারচর পশ্চিম দিকে উজানঝগড়ারচর পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, দাঁতভাঙ্গা বাজার পাগলার মাজার হতে পর্বদিকে হরিনধরা নতুনগ্রাম বেড়িবাধ পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প হতে পর্বদিকে বেড়িবাধ পর্যন্ত কাঁচা ১কি.মি, দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প হতে পশ্চিম দিকে কাজাইকাটা বাঁশের সাঁকো পর্যন্ত ৪কি.মি কাঁচা, দাঁতভাঙ্গা শালুর মোড় হতে বাংলাবাজার সাহেবের আলগা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত ৭ কি.মি কাঁচা, শালুর মোড় হতে খেতার চর হয়ে চরগয়টা পাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত ৩ কি.মি, হাজিরহাট হতে চরধনতলা পর্যন্ত কাঁচা ২কি.মি. কাঁচা, দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্প হতে হাজিরহাট পযর্ন্ত সাড়ে ৩কি.মি. কাঁচা, কাঁচা, দাঁতভাঙ্গা বাজার হতে পশ্চিম দক্ষিণ দিকে পুরান টাপুরচর পর্যন্ত ৩ কি.মি. কাঁচা রাস্তা খুবি বেহাল দশা।
২নং শৌলমারী ইউনিয়নের
মো. মশিউর রহমান বাবু জানান, শৌলমারী গ্রাম হতে চতলাকান্দা পর্যন্ত ৭কি.মি কাঁচা, শৌলমারী হতে বলমেরচর ব্রীজ পর্যন্ত ৫কি.মি কাঁচা, শৌলমারী পাকা রাস্তার মাথা হতে পূর্ব দিকে ফকিরপাড়া সরকারী প্রথিমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৮কি.মি. কাঁচা, বোয়ালমারী পাকা রাস্তার মাথা হতে চেংটাপাড়া হয়ে বাঘেরহাট পর্যন্ত ৩কি.মি কাঁচা, মাঠেরভিটা হতে পূর্বদিকে গয়টাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত ৫কি.মি. কাঁচাপাকা, চতলাকান্দা হতে পূর্বদিকে কলমেচর হয়ে গয়টাপাড়া জামালের বাড়ী পর্যন্ত ৩কি.মি কাঁচা, পুড়ারচর ডিসি রাস্তা হতে উত্তর পূর্ব দিকে বড়াইকান্দি বাজার পর্যন্তা ৩কি.মি. কাঁচাপাকা, বড়াইকান্দি ডিসি রাস্তা হতে পূর্বদিকে চরবোয়ালমারী পর্যন্ত ৬কি.মি কাঁচা, মন্ডলপাড়া হতে নাওবাড়ীকান্দা হয়ে বেহুলার চর সীমান্ত পর্যন্ত ৬কি. মি. কাঁচাপাকা, বড়াইকান্দি তালেরমোড় হতে পূর্বদিকে বোয়ালমারী আকন্দপাড়া পাকা রাস্তার মাথা পর্যন্ত ৬কি. মি. কাঁচাপাক, সুতিরপার ভুন্দর মোড় হতে পূর্ব দিকে মোল্লার চর বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত ৩ কি. মি. কাঁচা রাস্তায় চলাচল ও মালামল পরিবহন অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
৩নং বন্দবেড় ইউনিয়নের
স্থানীয় সিএসডিকে এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক মো. আবু হানিফ মাস্টার জানান, খন্জনমার সুইচ গেইট থেকে বাইটকামারী, পূর্বপাখিউড়া হয়ে দাঁতভাঙ্গা পর্যন্ত ১৪কি.মি. পাকা রাস্তা ১৩জাগায় ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলা অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বন্দবেড় মদাবেপারীর ঘাট হতে পশ্চিম দিকে কুটিরচর পর্যন্ত ২কি.মি. পাকা, টাপুরচর বাজারের পশ্চিম পাশে ব্রীজ হতে নলবাড়ী, তিনতেলী, ঝুনকিরচর হয়ে জিগ্নিকান্দা ব্রীজ পর্যন্ত ৫কি.মি. কাঁচা, তিনতেলী হতে বাইটকামারী পাকা রাস্তা পর্যন্ত ১কি.মি., দক্ষিণ টাপুরচর আ: করিম চেয়ারম্যানের বাড়ী হতে পশ্চিম দিকে তিতেলী পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, কুটিরচর স্কুল এন্ড কলেজ হতে উত্তর দিকে মধ্যখনজনমারা কাঁচা ৩কি.মি, স্কুল এন্ড কলেজ হতে পশ্চিম দিকে ফলুয়ারচর নৌঘাট পর্যন্ত ১কি.মি. কাঁচাপাক রাস্তা মালামাল পরিবহন ও চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
৪নং রৌমারী ইউনিয়নের
সবুজপাড়া গ্রামের আতিকুর রহমান সুমুন জানান, উপজেলা মোড় হতে থানা মোড় পর্যন্ত ১কি.মি. ডিসি রাস্তার অবস্থা খালখন্দ হওয়ার কারণে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলা মোড় হতে কলেজপাড়া ১কি.মি. পাকা, মির্জাপাড়া ডিসি রোড় হতে পশ্চিম দিকে পদ্ধারচর হয়ে বাঘমারা বেঁড়িবাঁধ পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, তুরারোড় হতে মন্ডলপাড়ার মাথা পর্যন্ত ১কি.মি. কাঁচা, তুরারোড হতে নওদাপাড়া কিনুর মোড় পর্যন্ত ১কি.মি. কাঁচা, তুরা রাস্তার নটানপাড়া জামে মসজিদ থেকে রতনপুর আব্দুল রশিদের বাড়ি পর্যন্ত ৩কি.মি পাকা, সুতিরপাড়া ভুন্দুর মোড় থেকে সুতিরপাড়া পর্যন্ত ১কি.মি., তুরারোড গুচ্চগ্রাম হতে চরবামনেরচর উত্তর দিকে সাত্তারের বাড়ী পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, রতনপুর পাকা রাস্তা হইতে আবু তৈয়ব আকাশ বাড়ী হয়ে নওদাপাড়া পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা ২কি.মি., মির্জাপাড়া মোড় হতে পশ্চিম দক্ষিণ দিকে চাক্তাবাড়ী পর্যন্ত কাঁচা ৫কি.মি.,কান্দাপাড়াগ্রামের বাঁশের ব্রীজ থেকে মনুখাঁর বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা ২কি.মি., মির্জাপাড়া ডিসি রাস্তা হতে পূর্ব দিকে কলাবাড়ী পর্যন্ত ৪কি.মি কাঁচা, রৌমারী থানা মোড় হতে মহিলা কলেজ পাড়া পর্যন্ত ১কি.মি. পাকা রাস্তার পাশে গাইড ওয়াল না থাকায় বৃষ্টির পানি নেমে রাস্তাটির তিনটি স্থানের ভেঙ্গে যায়। এতে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
৫নং যাদুরচর ইউনিয়নের
কলাবাড়ি গ্রামের মো. এমাদাদুল হক জানান, কাঁচা পাকা মিলে মোট ৪৮কি.মি. রয়েছে। এর মধ্যে চলাচলের অযোগ্য রাস্তা গুলো হচ্ছে- বাওয়ারগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে দক্ষিণ দিকে ধুবলাবাড়ি বাজার ২কি.মি. কাঁচা, চুলিয়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে খেওয়ারচর বিজিবি ক্যাম্প দক্ষিণ দিকে বালিয়ামারী বাজার পর্যন্ত ৭কি.মি. কাঁচা, লালকুড়া নৌকাঘাট হতে রাবারড্রম হয়ে খেওয়ারচর বাজার পর্যন্ত ৩কি.মি. কাঁচা, বাইমমারী হতে পূর্বদিকে বাওয়ারগ্রাম পর্যন্ত ৩কি.মি. কাঁচা, ইজলামারী বিজিবি ক্যম্প হতে দক্ষিণ দিকে ইজলামারী ব্রীজ পর্যন্ত ৩কি.মি. কাঁচা, যাদুরচর আবুল হাশেমের বাড়ি থেকে পুর্বপাড়া কাদেররের বাড়ি পর্যন্ত ১কি.মি. কাঁচা, যাদুরচর জামে মসজিদ থেকে উত্তরে ওয়াহেদের বাড়ি পর্যন্ত ১কি.মি. কাঁচা, গোলাবাড়ি ডিসি রাস্তা থেকে কাশিয়াবাড়ি দক্ষিনে কালু শেখের বাড়ি পর্যন্ত ১কি.মি. পাকা, যাদুরচর হাইস্কুল থেকে উত্তরে গার্লস স্কুল পর্যন্ত ১কি.মি. কাঁচা, বাইমমারী হতে ধনারচর টাঙ্গাপাড়া বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ২কি.মি কাঁচা, চাক্তাবাড়ী হতে দক্ষিণ দিকে শিপেরডাঙ্গী পর্যন্ত কাঁচা ৮কি.মি. কাঁচাপাকা, চাক্তাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ দিকে আয়নাল সরকারের বাড়ী পযর্ন্ত ৩কি.মি. কাঁচা, যাদুরচর নতুনগ্রাম পাকা রাস্তার থেকে উত্তর দিকে চাক্তাবাড়ী সুইটমোড় পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, লালকুড়া খেয়া ঘাট হতে পূর্বদিকে বকবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয় পযর্ন্ত সাড়ে ৩কি.মি. কাঁচা, কাশিয়াবাড়ী হতে ধুবলাবাড়ী পর্যন্ত ৩কি.মি. কাঁচা, এছাড়ও কর্তিমারী বাজার হতে নৌকাঘাট পযর্ন্ত ২কি.মি. পাকা রাস্তাটি গতবছর সংস্কার করা হলেও বর্তমানে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
৬নং চরশৌলমারী ইউনিয়নের
চরগেন্দার আলগা গ্রামের লালচান শিকদার ও শান্তির চর গ্রামের সাহালম মিয়া জানান, পাখিউড়া ব্রীজ হয়ে চরশৌলমারী পাকা ৮কি.মি. রাস্তা, ফুলকারচর সয়দ আলী বাড়ী হতে পশ্চিম দিকে পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, চরশৌলমারী ডিগ্রি কলেজ হতে উত্তর দিকে চরগেন্দার আলগা হয়ে রহিম ডাক্তার বাড়ী পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, সোনাপুর কুরবানের বাড়ি হতে পশ্চিম দক্ষিণ দিকে ঘুঘুমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৩কি.মি. কাঁচা, চরগেন্দার আলগা মোড় হতে দক্ষিণ দিকে আয়ুব আলীমোড় পর্যন্ত ৩কি.মি. কাঁচা, ঘুঘুমারী দেলোয়ারের বাড়ি হতে দক্ষিণ দিকে পাখিউড়া পাকা রাস্তা পর্যন্ত ৪কি.মি. কাঁচা, সুখেরবাতি নয়াপাড়া হতে উত্তর দিকে সোনাপুর বাজার পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, অহেদনগর নুর মোহাম্ম্দ বাড়ি হতে চরশৌলমারী মতিন ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত ১কি.মি. কাঁচা, সুখেরবাতি নয়াপাড়া ইউসুবের বাড়ির মোড় হতে পশ্চিম দিকে সুখেরবাতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ২কি.মি. কাঁচা, মিয়ারচর পাকা রাস্তা হতে উত্তর পশ্চিম দিকে ফুলকারচর পর্যন্ত ৮কি.মি. কাঁচাপাকা, চরশৌলমারী ডিগ্রি কলেজ হতে পশ্চিম দিকে ঘুঘুমারী পর্যন্ত ৩কি.মি. কাঁচা, চরশৌলমালী ইউনিয়ন পরিষদ হতে উত্তর দিকে সোনাপুর পর্যন্ত ৪কি.মি. পাকা, পাখিউড়া পাকা রাস্তার হতে দক্ষিণ দিকে আব্দুল খালেকের বাড়ী পযর্ন্ত ২কি.মি. কাঁচা রাস্তা ভাঙ্গাচুড়া খালখন্দ চলাচল করা যায় না।
রৌমারী সরকারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু হোরায়েরা বলেন, এসব রাস্তার সংস্কারের সময় নিম্ন মানের কাজ হওয়ায় রাস্তার দুই পাশের পার্কিং এর ইট, খোয়া ও মাটিসহ রাস্তা ধসে পড়ে রাস্তার প্রশস্থ কমে গেছে। কোথাও রাস্তার মাঝখানের পাথরসহ খোয়া উঠে বড় বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রকল্প দেওয়া হলেও নাম মাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাত করা হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হলে কিছুটা কাজ হয়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে কোন প্রকল্পের কাজ হয় না।
১নং দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামসুল হক,২নং ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল, ৩নং বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন, ৪নং রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুর ইসলাম শালু, ৫নং যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সরবেশ আলী, ৬নং চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক, জানান, গত দুই বছরের ভয়াবহ বন্যায় রাস্তা, ব্রীজ কালভার্ট, সড়ক ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। রাস্তার গুলো চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
রৌমারী উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ঘাটের তথ্য জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। টিআর, কাবিখাঁ, প্রকল্প বরাদ্দ আসলে ছোট ছোট গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা গুলোর সংস্কার ও মেরামতের কাজ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের অনেক কাঁচা পাকা রাস্তা সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়েছে। রাস্তা গুলো সংস্কার ও মেরামত করা হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। উল্লেখিত রাস্তা গুলোর মধ্যে অনেক রাস্তা পাকা করণ ও সংস্কারের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান বলেন, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা পাকা রাস্তা গুলোর বিভিন্ন জাগায় ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও অনেক কাঁচাপাকা রাস্তা ভেঙ্গে খালখন্দের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করার জন্য ইটের খোয়া ও বালি দিয়ে মেরামত করার ব্যবস্তা করতে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী কে দেখার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>রোববার থেকে চলবে মেট্রোরেল
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন