কুড়িগ্রামের উলিপুরের প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাতিয়া ইউনিয়নের পালের ঘাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নামে অবৈধ ভাবে উত্তোলিত প্রায় ৫ লাখ সিএফটি বালু,যাহা সহকারী কমিশনার(ভূমি)কর্তৃক জব্দ কৃত প্রকাশ্যে বিক্রি করছে বিদেশি মইনুল নামের এক ব্যক্তি। আজ রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে এ প্রতিবেদক পালের ঘাটে গেলে ট্রাক্টর ও ভ্যান গাড়িতে করে সিমেন্টের বস্তায় বালু বিক্রির দৃশ্য চোখে পড়ে।
হাতিয়া বকশি পাড়া গ্রামের ভ্যানচালক ছকমল এ প্রতিবেদককে জানান,আমরা চেয়ারম্যানের ভাই বিদেশি মইনুলের কাছ থেকে সিমেন্টের বস্তায় ২৫ বস্তার মূল্য ৩৫০ টাকা হিসাবে বালু ক্রয় করছি। সেই হিসাবে প্রতি সিএফটি বালুর মূল্য দ্বারায় চৌদ্দ টাকা।
কিছুদিন আগে অবৈধভাবে উত্তোলিত এসব বালু সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান আটক করলে তাৎক্ষণিকভাবে বালুর কোন মালিক খুঁজে না পাওয়ায় তা তিনি জব্দ করে রাখেন।
ঘটনার দুই সপ্তাহ পর এসব বালু পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নিয়োজিত ঠিকাদার মুস্তাফিজার রহমান সাজু তার কাজের জন্য তোলা হয়েছে বলে দাবি করেন। এরপর সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসব বালু পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়নমূলক কাজ ব্যতীত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে ঘোষণা দেন। তার ওই ঘোষণার পর গত ২ নভেম্বর ২০২২ তারিখ ঠিকাদার মুস্তাফিজার রহমান সাজু এসব বালু অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা হবে না মর্মে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন।
এদিকে ঠিকাদারের দেয়া অঙ্গীকারনামা ভঙ্গ করে এক সপ্তাহ থেকে স্থানীয় বালুখেকো বিদেশি মইনুল তার সাঙ্গ-পাঙ্গোদের নিয়ে জব্দকৃত এসব বালু হাইড্রোলিক ড্রাম ট্রাক, কাকরা নামক ট্রাক্টর ও ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে সিমেন্টের বস্তা ভর্তি করে প্রকাশ্যেই দিবারাত্রি বিক্রি করছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, বালু সিন্ডিকেটের কাছে যেন জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি প্রশাসন জিম্মি হয়ে পড়েছে।