লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে ১১ বছর ধরে এক গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন করে আসতেছে এক পাষণ্ড স্বামী এবার তার অন্য টা ঘরছাড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ তার স্বামী – সেলিম মেহেদী ও রাশেদুল ইসলাম -সাবিনা বেগম সহ মোট তিন জনকে অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।ঘরছাড়া গৃহবধূ তুলি খাতুন (২৯) উপজেলার উত্তর মুশরত মদাতী ইউনিয়নের ৬নং ওয়াডের বাসিন্দা – আব্দুল জলিলের মেয়ে।।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১১ বছর আগে তুলি খাতুনের সঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর শ্রুতিধর পন্ডিতপাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলামের
ছেলে সেলিম মেহেদীর বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ শুরু হয় তুলি খাতুনের উপর। একপর্যায়ে মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিভিন্ন সময়ে সেলিম মেহেদী কে
হাজার হাজার টাকা দেয় তার পরিবার।
পরবর্তীতে আবারো ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তারা। টাকা দিতে অপারগতা জানালে মারধর করে তুলি খাতুন কে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেলিম মেহেদী সহ দু জন।
তুলি খাতুন জানান, বিয়ের পর থেকেই তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়। যৌতুকের জন্য চাপ দিলে বিভিন্ন ভাবে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয় তার পরিবার। এখন নতুন করে তার
শশুর শাশুড়ী সহ স্বামীর প্ররোচনায় আরো ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তারা।
টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে বেধড়ক মারধর করে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং চাহিদা মতো টাকা নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে ফিরে আসতে বলেন।
তুলি খাতুনের বাবা আব্দুল জলিল জানান, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময়ে জামাইকে হাজার হাজার টাকা দেওয়া হয়। জামাই কিছুদিন পরপর টাকা চায়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মেয়েকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।