কারামুক্ত হয়ে পরীক্ষা দিতে বসলেন খাদিজা » NewsBijoy24 Online Newspaper of Bangladesh.
ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কারামুক্ত হয়ে পরীক্ষা দিতে বসলেন খাদিজা

  • নিউজ বিজয় ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৫:০৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • ২৪৭ পড়া হয়েছে। নিউজবিজয় ২৪.কম-১৫ ডিসেম্বরে ৯ বছরে পর্দাপন

কারামুক্ত হয়ে পরীক্ষা দিতে বসলেন খাদিজা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জামিন পেয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির পর পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। গ্রেফতারের প্রায় ১৫ মাস পর আজ সোমবার সকালে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা বলেন, ‘আমরা খুব ভোরে এখানে এসেছি। খাদিজা সকাল ৯টায় কারাগার থেকে বের হন। তার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আজ। এই কারণে আমরা এখানে খুব তাড়াতাড়ি এসেছি। বেলা সাড়ে ১১টায় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছে সে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জামিন পান খাদিজা। রোববার সন্ধ্যায় জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মুক্তির অনুমতি না পাওয়ায় তাকে ছাড়াই ফিরে আসতে হয় স্বজনদের। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) দুই মামলায় ২০২০ সালে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় ‘সরকারবিরোধী প্রচারণা চালানো ও বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করার’ অভিযোগে দু’টি মামলা করে পুলিশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দায়ের হওয়া দু’টি মামলার অভিযোগ একই রকম ছিল। ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, খাদিজা ও দেলোয়ার দেশের বৈধ প্রশাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর প্রচারণা চালানোর ষড়যন্ত্র করেন। খাদিজার আইনজীবী জানান, ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সময় খাদিজার বয়স ছিল ১৭ বছর। কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও খাদিজার জামিন আবেদন বার বার নাকচ করে দেয় ঢাকার একটি আদালত। এ মামলায় চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খাদিজাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
ওই বছরের ১০ জুলাই আপিল বিভাগ দুই মামলায় খাদিজাতুল কুবরার জামিন চার মাসের জন্য স্থগিত করেন।
শুনানিতে খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া যুক্তি দেন, খাদিজা তার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওতে যে সব মতামত দিয়েছেন তার জন্য খাদিজা দায়বদ্ধ নন। সূত্র : ইউএনবি

নিউজ বিজয় ২৪.কম/মোঃ নজরুল ইসলাম

 

নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

রাজধানীতে সোমবার যেসব মার্কেট বন্ধ

https://i0.wp.com/www.bd-pratidin.com/assets/newDesktop/sp-img/dengu-desktop.gif?ssl=1

কারামুক্ত হয়ে পরীক্ষা দিতে বসলেন খাদিজা

প্রকাশিত সময় :- ০৫:০৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জামিন পেয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির পর পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। গ্রেফতারের প্রায় ১৫ মাস পর আজ সোমবার সকালে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা বলেন, ‘আমরা খুব ভোরে এখানে এসেছি। খাদিজা সকাল ৯টায় কারাগার থেকে বের হন। তার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আজ। এই কারণে আমরা এখানে খুব তাড়াতাড়ি এসেছি। বেলা সাড়ে ১১টায় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছে সে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জামিন পান খাদিজা। রোববার সন্ধ্যায় জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মুক্তির অনুমতি না পাওয়ায় তাকে ছাড়াই ফিরে আসতে হয় স্বজনদের। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) দুই মামলায় ২০২০ সালে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় ‘সরকারবিরোধী প্রচারণা চালানো ও বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুন্ন করার’ অভিযোগে দু’টি মামলা করে পুলিশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দায়ের হওয়া দু’টি মামলার অভিযোগ একই রকম ছিল। ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, খাদিজা ও দেলোয়ার দেশের বৈধ প্রশাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর প্রচারণা চালানোর ষড়যন্ত্র করেন। খাদিজার আইনজীবী জানান, ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সময় খাদিজার বয়স ছিল ১৭ বছর। কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও খাদিজার জামিন আবেদন বার বার নাকচ করে দেয় ঢাকার একটি আদালত। এ মামলায় চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খাদিজাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
ওই বছরের ১০ জুলাই আপিল বিভাগ দুই মামলায় খাদিজাতুল কুবরার জামিন চার মাসের জন্য স্থগিত করেন।
শুনানিতে খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া যুক্তি দেন, খাদিজা তার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওতে যে সব মতামত দিয়েছেন তার জন্য খাদিজা দায়বদ্ধ নন। সূত্র : ইউএনবি

নিউজ বিজয় ২৪.কম/মোঃ নজরুল ইসলাম