ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

https://www.newsbijoy24.com/category/dengue-update/

এশিয়া কাপ : শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডুবিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

  • স্পোর্টস ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ০৭:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৩০৯ পড়া হয়েছে।

গতবারের এশিয়া চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ পেয়েছিল। পুরো টুর্নামেন্টে আন্ডারডগ হিসেবে খেলে চমক দেখানো দলটি ফাইনালে ভারতের কাছে পাত্তাই পেলো না। রবিবার দেশের মাটিতে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে হার মানলো তারা। শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।

এ কী ফাইনাল ম্যাচ! একতরফা লড়াইয়ের কোন সংজ্ঞায় একে ফেলা যাবে? ৫০ ওভারের ম্যাচে সবমিলিয়ে খেলা হলো ২১.৩ ওভার! চরম লজ্জাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে ফাইনাল হারলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।

৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬.১ ওভারেই ১০ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে ভারত। দুই ওপেনার ইশান কিশান ২৩ আর শুভমান গিল ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

২৬৩ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়ে এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।

এশিয়া কাপের ফাইনালে বড় প্রত্যাশা নিয়ে শুরুতে ব্যাটিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ব্যাট করতে নামতেই তাদের শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো। এক ওভারের গতিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে লঙ্কানদের ব্যাটিং। পেসার মোহাম্মদ সিরাজ চতুর্থ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে শুরুতেই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছেন। ষষ্ঠ ওভারে আবার আঘাত করে তুলে নিয়েছেন ম্যাচের পঞ্চম উইকেট। তাতে ১২ রানে পড়ে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট! মাঝে কুশল মেন্ডিস প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে তাকেও বোল্ড করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কা সবশেষ তিন উইকেট হারায় হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে। ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে অলআউট স্বাগতিকরা, যা ভারতের বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন ওয়ানডে স্কোর।

ফাইনালের মতো মঞ্চে এমন সূচনা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু ভারতের পেসারদের সামনে লঙ্কানরা শুরুতে দাঁড়াতেই পারেনি। তৃতীয় বলে কুশল পেরেরাকে শূন্যরানে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। তার পর চতুর্থ ওভারে সিরাজ বোলিংয়ে এলে হতশ্রী হয়ে পড়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং।

সিরাজ বল হাতে এসে রীতিমতো উইকেট উৎসব করলেন। তাঁর করা চতুর্থ ওভারটি ছিল এমন—W 0 W W 4 W! যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য! কিছু বুঝে ওঠার আগেই সিরাজের বলে একে একে সাজঘরে ফিরলেন পাথুম নিশাঙ্কা, সাদিরা সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা।

মাত্র ১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু সিরাজ এসে ফিরিয়ে দেন তাকেও। ইনিংসের ১২তম ওভারে ভাঙেন মেন্ডিসের প্রতিরোধ। সিরাজের লেংথ বল বুঝে উঠতে পারেননি মেন্ডিস। লাইন মিস করতে গিয়ে হয়ে যান বোল্ড। তাতে সিরাজ পান নিজের ষষ্ঠ ও দলের সপ্তম উইকেট।

সিরাজের উইকেট উৎসবে এরপর যোগ দেন হার্দিক পান্ডিয়া। নিজের তৃতীয় ওভারেই তিনি পেয়ে যান উইকেটের দেখা। ভরসা হয়ে কিছুটা লড়াই করা ভেল্লালাগেকে নিজের শিকার বানান পান্ডিয়া। ভারতীয় অলরাউন্ডারের বলে উইকেটের পেছনে রাহুলের হাতে সহজ ক্যাচ নিয়ে ফেরেন ভেল্লালাগে। ফেরার আগে করেন ২১ বলে ৮ রান।

একের পর এক উইকেট হারানোর মিছিলে বেশিদূর যায়নি শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ৫০ ওভারের ম্যাচে লঙ্কানরা টিকতে পেরেছে কেবল ১৫.২ ওভার। ব্যাটারদের হতাশার দিনে মাত্র ৫০ রানেই শেষ স্বাগতিকদের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেছেন কুশল মেন্ডিস। বাকিরা কেউ ১৫ রানের এর ঘর পার করতে পারেননি।

ভারতের হয়ে বল হাতে ২১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ। ওয়ানডেতে সিরাজের এটাই সেরা বোলিং ফিগার। আগের সেরা বোলিং ছিল ৩২ রানে চার উইকেট। ২৩ রান খরচায় বুমরাহ নেন একটি উইকেট। তিন রান দিয়ে পান্ডিয়ার শিকার তিনটি।

৭ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন সিরাজ। ২.২ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে তিন উইকেট পান হার্দিক।

এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় ৬.১ ওভারে। ইশান কিষাণ ও শুবমান গিলের ওপেনিং জুটিতে জিতে গেছে ভারত। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ইশানের সিঙ্গেলে তারা ১০ উইকেটের জয়ে অষ্টম এশিয়া কাপ ট্রফি নিশ্চিত করে। ইশান ২৩ ও শুবমান ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা : ১৫.২ ওভারে ৫০/২ (পাথুম ২, পেরেরা ০, মেন্ডিস ১৭, সাদিরা ০, চারিথ ০, ডি সিলভা ৪, শানাকা ০, ভেল্লালাগে ৮, হেমন্ত ১৩, মাদুসান ১, পাথিরানা ০; সিরাজ ৭-১-২১-৬, বুমরাহ ৫-১-২৩-১, পান্ডিয়া ২.২-০-৩-৩, কুলদিপ ১-০-১-০)।

ভারত : ৬.১ ওভারে ৫১/০ (ইষান ২৩*, শুভমান ২৭* প্রমোদ ২-০-২১-০, পাথিরানা ২-০-২১-০, ভেল্লালাগে ২-০-৭-০, আসালাঙ্কা ০.১-০-১-০)।
ফল : ১০ উইকেটে জয়ী ভারত।

নিউজবিজয়/এফএইচএন

সকল সংবাদ পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…

নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

https://i0.wp.com/www.bd-pratidin.com/assets/newDesktop/sp-img/dengu-desktop.gif?ssl=1

এশিয়া কাপ : শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডুবিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত

প্রকাশিত সময় :- ০৭:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গতবারের এশিয়া চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ পেয়েছিল। পুরো টুর্নামেন্টে আন্ডারডগ হিসেবে খেলে চমক দেখানো দলটি ফাইনালে ভারতের কাছে পাত্তাই পেলো না। রবিবার দেশের মাটিতে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে হার মানলো তারা। শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।

এ কী ফাইনাল ম্যাচ! একতরফা লড়াইয়ের কোন সংজ্ঞায় একে ফেলা যাবে? ৫০ ওভারের ম্যাচে সবমিলিয়ে খেলা হলো ২১.৩ ওভার! চরম লজ্জাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে ফাইনাল হারলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।

৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬.১ ওভারেই ১০ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে ভারত। দুই ওপেনার ইশান কিশান ২৩ আর শুভমান গিল ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

২৬৩ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়ে এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।

এশিয়া কাপের ফাইনালে বড় প্রত্যাশা নিয়ে শুরুতে ব্যাটিং নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ব্যাট করতে নামতেই তাদের শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো। এক ওভারের গতিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে লঙ্কানদের ব্যাটিং। পেসার মোহাম্মদ সিরাজ চতুর্থ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে শুরুতেই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছেন। ষষ্ঠ ওভারে আবার আঘাত করে তুলে নিয়েছেন ম্যাচের পঞ্চম উইকেট। তাতে ১২ রানে পড়ে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট! মাঝে কুশল মেন্ডিস প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে তাকেও বোল্ড করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কা সবশেষ তিন উইকেট হারায় হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে। ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে অলআউট স্বাগতিকরা, যা ভারতের বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন ওয়ানডে স্কোর।

ফাইনালের মতো মঞ্চে এমন সূচনা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু ভারতের পেসারদের সামনে লঙ্কানরা শুরুতে দাঁড়াতেই পারেনি। তৃতীয় বলে কুশল পেরেরাকে শূন্যরানে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। তার পর চতুর্থ ওভারে সিরাজ বোলিংয়ে এলে হতশ্রী হয়ে পড়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং।

সিরাজ বল হাতে এসে রীতিমতো উইকেট উৎসব করলেন। তাঁর করা চতুর্থ ওভারটি ছিল এমন—W 0 W W 4 W! যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য! কিছু বুঝে ওঠার আগেই সিরাজের বলে একে একে সাজঘরে ফিরলেন পাথুম নিশাঙ্কা, সাদিরা সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা।

মাত্র ১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু সিরাজ এসে ফিরিয়ে দেন তাকেও। ইনিংসের ১২তম ওভারে ভাঙেন মেন্ডিসের প্রতিরোধ। সিরাজের লেংথ বল বুঝে উঠতে পারেননি মেন্ডিস। লাইন মিস করতে গিয়ে হয়ে যান বোল্ড। তাতে সিরাজ পান নিজের ষষ্ঠ ও দলের সপ্তম উইকেট।

সিরাজের উইকেট উৎসবে এরপর যোগ দেন হার্দিক পান্ডিয়া। নিজের তৃতীয় ওভারেই তিনি পেয়ে যান উইকেটের দেখা। ভরসা হয়ে কিছুটা লড়াই করা ভেল্লালাগেকে নিজের শিকার বানান পান্ডিয়া। ভারতীয় অলরাউন্ডারের বলে উইকেটের পেছনে রাহুলের হাতে সহজ ক্যাচ নিয়ে ফেরেন ভেল্লালাগে। ফেরার আগে করেন ২১ বলে ৮ রান।

একের পর এক উইকেট হারানোর মিছিলে বেশিদূর যায়নি শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ৫০ ওভারের ম্যাচে লঙ্কানরা টিকতে পেরেছে কেবল ১৫.২ ওভার। ব্যাটারদের হতাশার দিনে মাত্র ৫০ রানেই শেষ স্বাগতিকদের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেছেন কুশল মেন্ডিস। বাকিরা কেউ ১৫ রানের এর ঘর পার করতে পারেননি।

ভারতের হয়ে বল হাতে ২১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ। ওয়ানডেতে সিরাজের এটাই সেরা বোলিং ফিগার। আগের সেরা বোলিং ছিল ৩২ রানে চার উইকেট। ২৩ রান খরচায় বুমরাহ নেন একটি উইকেট। তিন রান দিয়ে পান্ডিয়ার শিকার তিনটি।

৭ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন সিরাজ। ২.২ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে তিন উইকেট পান হার্দিক।

এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় ৬.১ ওভারে। ইশান কিষাণ ও শুবমান গিলের ওপেনিং জুটিতে জিতে গেছে ভারত। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ইশানের সিঙ্গেলে তারা ১০ উইকেটের জয়ে অষ্টম এশিয়া কাপ ট্রফি নিশ্চিত করে। ইশান ২৩ ও শুবমান ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা : ১৫.২ ওভারে ৫০/২ (পাথুম ২, পেরেরা ০, মেন্ডিস ১৭, সাদিরা ০, চারিথ ০, ডি সিলভা ৪, শানাকা ০, ভেল্লালাগে ৮, হেমন্ত ১৩, মাদুসান ১, পাথিরানা ০; সিরাজ ৭-১-২১-৬, বুমরাহ ৫-১-২৩-১, পান্ডিয়া ২.২-০-৩-৩, কুলদিপ ১-০-১-০)।

ভারত : ৬.১ ওভারে ৫১/০ (ইষান ২৩*, শুভমান ২৭* প্রমোদ ২-০-২১-০, পাথিরানা ২-০-২১-০, ভেল্লালাগে ২-০-৭-০, আসালাঙ্কা ০.১-০-১-০)।
ফল : ১০ উইকেটে জয়ী ভারত।

নিউজবিজয়/এফএইচএন