ঢাকা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ঈদের আনন্দ ম্লান করবে লোডশেডিং

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। আপনজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এরইমধ্যে গ্রামে গেছেন অনেকে। ঈদ উদযাপনে এত আয়োজনের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লোডশেডিং। চলমান বিদ্যুৎ সংকট ঈদের আনন্দ ম্লান করবে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে, কয়েকদিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। তাই, লোডশেডিং ভোগান্তি বাড়াবে। ফলে, ঈদের আনন্দ ম্লান হতে পারে লোডশেডিংয়ের কারণে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণকারী কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববাজারে দাম চড়া, তাই খোলাবাজার (স্পট মার্কেট) থেকে আপাতত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে না সরকার। দেশে যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা হয়, তার একটি বড় অংশ ব্যবহার করা হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। শিল্পকারখানাতেও বিপুল পরিমাণ গ্যাস লাগে। লাইনে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় শিল্পকারখানাতেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। লমান পরিস্থিতিতে লোডশেডিংয়ের সময় নির্ধারণ করার কাজ চলছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ খাতের চলমান সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা কমানো এবং ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালুর জন্য জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। দৈনিক কর্মঘণ্টা ২ ঘণ্টা কমানোর সুপারিশ করা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুতের উৎপাদন (আমদানিসহ) সক্ষমতা আছে ২১ হাজার ৩৯৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৬৮৮ মেগাওয়াট, গ্যাসভিত্তিক ১০ হাজার ৮৭৮ মেগাওয়াট, ফার্নেস অয়েলভিত্তিক ৫ হাজার ৯২৫ মেগাওয়াট, ডিজেলভিত্তিক ১ হাজার ২৮৬ মেগাওয়াট, জলবিদ্যুৎ ২৩০ মেগাওয়াট, আমদানি ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট ও সৌর বিদ্যুৎ থেকে ২২৯ মেগাওয়াট। ৮ জুলাই রাতে গ্যাস দিয়ে অর্ধেকেরও কম অর্থাৎ ৪ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি উৎপাদন করা হয়েছে।পেট্রোবাংলা ও পিডিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো আভাস মেলেনি। অন্য খাত থেকে কমিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা করছে পেট্রোবাংলা। দুই দিন পর ঈদের ছুটি শুরু হলে চাহিদা কমতে পারে, এমন আশায় আছেন তারা। বর্ষাকালের বৃষ্টিও বিদ্যুতের চাহিদা কমাতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন শিল্প এলাকায় চাহিদা কমলেও বাড়িমুখী মানুষের কারণে গ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। কিন্তু, গ্রামাঞ্চলে বিতরণ ব্যবস্থা মানসম্মত না হওয়ায় অতিরিক্ত লোড বহন করতে পারবে না। এতে লোডশেডিং করতে বাধ্য হবে বিতরণ কোম্পানিগুলো। তীব্র গরমে লোডশেডিং জনজীবনে ভোগান্তি বাড়িয়ে দেবে।

নিউজ বিজয় / মোঃ নজরুল ইসলাম

সংবাদটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

নামাজের সময়সূচি: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এবার ঈদের আনন্দ ম্লান করবে লোডশেডিং

"নিউজ বিজয়: এক দশকের মাইলফলক" প্রকাশিত সময় : ০৫:০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০২২

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। আপনজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এরইমধ্যে গ্রামে গেছেন অনেকে। ঈদ উদযাপনে এত আয়োজনের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে লোডশেডিং। চলমান বিদ্যুৎ সংকট ঈদের আনন্দ ম্লান করবে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে, কয়েকদিন ধরে চলছে তাপপ্রবাহ। তাই, লোডশেডিং ভোগান্তি বাড়াবে। ফলে, ঈদের আনন্দ ম্লান হতে পারে লোডশেডিংয়ের কারণে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণকারী কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববাজারে দাম চড়া, তাই খোলাবাজার (স্পট মার্কেট) থেকে আপাতত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে না সরকার। দেশে যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা হয়, তার একটি বড় অংশ ব্যবহার করা হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। শিল্পকারখানাতেও বিপুল পরিমাণ গ্যাস লাগে। লাইনে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় শিল্পকারখানাতেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। লমান পরিস্থিতিতে লোডশেডিংয়ের সময় নির্ধারণ করার কাজ চলছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ খাতের চলমান সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা কমানো এবং ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালুর জন্য জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। দৈনিক কর্মঘণ্টা ২ ঘণ্টা কমানোর সুপারিশ করা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুতের উৎপাদন (আমদানিসহ) সক্ষমতা আছে ২১ হাজার ৩৯৬ মেগাওয়াট। এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৬৮৮ মেগাওয়াট, গ্যাসভিত্তিক ১০ হাজার ৮৭৮ মেগাওয়াট, ফার্নেস অয়েলভিত্তিক ৫ হাজার ৯২৫ মেগাওয়াট, ডিজেলভিত্তিক ১ হাজার ২৮৬ মেগাওয়াট, জলবিদ্যুৎ ২৩০ মেগাওয়াট, আমদানি ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট ও সৌর বিদ্যুৎ থেকে ২২৯ মেগাওয়াট। ৮ জুলাই রাতে গ্যাস দিয়ে অর্ধেকেরও কম অর্থাৎ ৪ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি উৎপাদন করা হয়েছে।পেট্রোবাংলা ও পিডিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো আভাস মেলেনি। অন্য খাত থেকে কমিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা বাড়ানোর চেষ্টা করছে পেট্রোবাংলা। দুই দিন পর ঈদের ছুটি শুরু হলে চাহিদা কমতে পারে, এমন আশায় আছেন তারা। বর্ষাকালের বৃষ্টিও বিদ্যুতের চাহিদা কমাতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন শিল্প এলাকায় চাহিদা কমলেও বাড়িমুখী মানুষের কারণে গ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। কিন্তু, গ্রামাঞ্চলে বিতরণ ব্যবস্থা মানসম্মত না হওয়ায় অতিরিক্ত লোড বহন করতে পারবে না। এতে লোডশেডিং করতে বাধ্য হবে বিতরণ কোম্পানিগুলো। তীব্র গরমে লোডশেডিং জনজীবনে ভোগান্তি বাড়িয়ে দেবে।

নিউজ বিজয় / মোঃ নজরুল ইসলাম