ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

https://www.newsbijoy24.com/category/dengue-update/

একটি সেতুর অভাবে ১০টি গ্রামবাসীর জনদুর্ভোগ-পারাপারে নৌকায় একমাত্র ভরসা

রেজাউল করিম রাজ্জাক,বিশেষ প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী মহিষতুলি ঝাড়িঝাড় এলাকায় রত্নাই নদীতে একটি সেতুর অভাবে ১০টি গ্রামবাসীর জনদুর্ভোগের স্বীকার। রত্নাই নদীটি ভারতে সাথে সংযুক্ত থাকায় প্রায় বন্যা দেখা দেয় যা বেশিরভাগ সময় পানি থাকে ফলে খেঁয়াঘাট দিয়ে নৌকাই তাদের পারাপরের একমাত্র ভরসা।

স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, স্বাধিনতার ৫২ বছর পর থেকে ঐ এলাকায় ব্রীজ নির্মান করা হবে বলে বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিরা আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত নির্মান করা সম্ভব হয়নি। ফলে এলাকার জনগনের পারাপারের জন্য নৌকায় একমাত্র ভরসা।অপরদিকে শুকনা মৌসুমে আবার বাঁশের সাকোঁতে মটরসাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে চরম আতঙ্কে পারাপার করতে হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভারতের সিমান্তবর্তী মহিষতুলি ঝাড়িঝাড় এলাকাটি আদিতমারী উপজেলা হতে দুরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার নদীতে সেতু না থাকায় মোঘলহাট,দুর্গাপুর,ভেলাবাড়ী ও গোড়ল ৪টি ইউনিয়নসহ, কালিরহাট,দুলালী,

হাজিগঞ্জ,ফলিমারী,আমেনা বাজার, মহিষতুলিসহ অনেক এলাকার কয়েক হাজার মানুষ বিকল্প উপায়ে অনেকদুর রাস্তা ঘুরে মোটরসাইকেল,রিক্সা,ভ্যানযোগে চলাচল করতে হয়। ব্রীজ না থাকায় প্রতিদিন শত,শত মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।এই এলাকা পুর্বপাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিমে একটি হাইস্কুল রয়েছে যা প্রতিদিন কোমলমতি শিশু ও ছাত্রছাত্রীরা নৌকাযোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপর হয়ে অনেকদুর রাস্তা পায়ে হেটে স্কুলে যেতে হয়। এমতাবস্থা চলতে থাকলে ব্রীজ না থাকায় তারা যে কোনো মুহুর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

মহিষতুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী রুমি খাতুন বলেন,ব্রীজ না থাকায় কোন যানবাহন চলে না ফলে বর্ষাকালে নৌকা ও শুকনা মৌসুমে বাশেঁর সাঁকোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেটে নিয়মিত স্কুলে যেতে হয়।

মহিষতুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঝাড়িঝাড় এলাকায় রত্নাই নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় শতাধিক স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে। আবার বর্ষা মৌসুমে ভরা নদীতে খেঁয়াঘাটে নৌকায় পারাপর হতে অনেক অভিভাবক তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে বিদ্যালয়ে আসতে দেয়না। তিনি আরও জানান স্বাধিনতার পর থেকে সরকারী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন বিভিন্ন সময় মাপযোগ করে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন জনপ্রতিনিরা আশ্বাস দিলেও এ পর্যন্ত কোন খোজ-খবর নেই। এমতাবস্থায় ব্রীজটি হওয়ায় এলাকার জনসাধারন ও স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের ভিষন অসুবিধার সন্মুখীন হতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর একটাই দাবী ব্রীজটি যাতে জরুরী ভিত্তিতে নির্মান করা হয়।

আরো পড়ুন>>লিটারে ১০ টাকা কমলো সয়াবিন তেলের দাম

ভেলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সাংবাদিককে জানান,মহিষতুলি ঝাড়িঝাড় এলাকার খেঁয়াঘাটটি দেশ স্বাধিন হওয়ার পর থেকে ব্রীজ না থাকায় ৪টি ইউনিয়নের হাজার,হাজার মানুষ কষ্ট করছে। সিমান্তবর্তী হওয়ায় বিজিবি সদস্যদের চলাচল ও স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের ভিষন অসুবিধায় পড়তে হয়। এই ঘাটে ব্রীজ নির্মানের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে কোন লাভ হয়নি। অত্র এলাকার লোকজনের কষ্টলাগব দুর করতে ব্রীজটি নির্মানে সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।

উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম জানান,ব্রীজটি অনুর্ধ্ব-১০০ প্রজেক্ট এলজিইডিতে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে কাজ কাজ শুরু হবে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

সকল সংবাদ পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…

নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

সাঘাটায় মাথার খুলি-হাড়দন্ড ও যাদুর বইসহ প্রতারক গ্রেফতার

https://i0.wp.com/www.bd-pratidin.com/assets/newDesktop/sp-img/dengu-desktop.gif?ssl=1

একটি সেতুর অভাবে ১০টি গ্রামবাসীর জনদুর্ভোগ-পারাপারে নৌকায় একমাত্র ভরসা

প্রকাশিত সময় :- ১০:০০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

রেজাউল করিম রাজ্জাক,বিশেষ প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী মহিষতুলি ঝাড়িঝাড় এলাকায় রত্নাই নদীতে একটি সেতুর অভাবে ১০টি গ্রামবাসীর জনদুর্ভোগের স্বীকার। রত্নাই নদীটি ভারতে সাথে সংযুক্ত থাকায় প্রায় বন্যা দেখা দেয় যা বেশিরভাগ সময় পানি থাকে ফলে খেঁয়াঘাট দিয়ে নৌকাই তাদের পারাপরের একমাত্র ভরসা।

স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, স্বাধিনতার ৫২ বছর পর থেকে ঐ এলাকায় ব্রীজ নির্মান করা হবে বলে বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিরা আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত নির্মান করা সম্ভব হয়নি। ফলে এলাকার জনগনের পারাপারের জন্য নৌকায় একমাত্র ভরসা।অপরদিকে শুকনা মৌসুমে আবার বাঁশের সাকোঁতে মটরসাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে চরম আতঙ্কে পারাপার করতে হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভারতের সিমান্তবর্তী মহিষতুলি ঝাড়িঝাড় এলাকাটি আদিতমারী উপজেলা হতে দুরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার নদীতে সেতু না থাকায় মোঘলহাট,দুর্গাপুর,ভেলাবাড়ী ও গোড়ল ৪টি ইউনিয়নসহ, কালিরহাট,দুলালী,

হাজিগঞ্জ,ফলিমারী,আমেনা বাজার, মহিষতুলিসহ অনেক এলাকার কয়েক হাজার মানুষ বিকল্প উপায়ে অনেকদুর রাস্তা ঘুরে মোটরসাইকেল,রিক্সা,ভ্যানযোগে চলাচল করতে হয়। ব্রীজ না থাকায় প্রতিদিন শত,শত মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।এই এলাকা পুর্বপাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিমে একটি হাইস্কুল রয়েছে যা প্রতিদিন কোমলমতি শিশু ও ছাত্রছাত্রীরা নৌকাযোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপর হয়ে অনেকদুর রাস্তা পায়ে হেটে স্কুলে যেতে হয়। এমতাবস্থা চলতে থাকলে ব্রীজ না থাকায় তারা যে কোনো মুহুর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

মহিষতুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী রুমি খাতুন বলেন,ব্রীজ না থাকায় কোন যানবাহন চলে না ফলে বর্ষাকালে নৌকা ও শুকনা মৌসুমে বাশেঁর সাঁকোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেটে নিয়মিত স্কুলে যেতে হয়।

মহিষতুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঝাড়িঝাড় এলাকায় রত্নাই নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় শতাধিক স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে। আবার বর্ষা মৌসুমে ভরা নদীতে খেঁয়াঘাটে নৌকায় পারাপর হতে অনেক অভিভাবক তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে বিদ্যালয়ে আসতে দেয়না। তিনি আরও জানান স্বাধিনতার পর থেকে সরকারী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন বিভিন্ন সময় মাপযোগ করে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন জনপ্রতিনিরা আশ্বাস দিলেও এ পর্যন্ত কোন খোজ-খবর নেই। এমতাবস্থায় ব্রীজটি হওয়ায় এলাকার জনসাধারন ও স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের ভিষন অসুবিধার সন্মুখীন হতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর একটাই দাবী ব্রীজটি যাতে জরুরী ভিত্তিতে নির্মান করা হয়।

আরো পড়ুন>>লিটারে ১০ টাকা কমলো সয়াবিন তেলের দাম

ভেলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সাংবাদিককে জানান,মহিষতুলি ঝাড়িঝাড় এলাকার খেঁয়াঘাটটি দেশ স্বাধিন হওয়ার পর থেকে ব্রীজ না থাকায় ৪টি ইউনিয়নের হাজার,হাজার মানুষ কষ্ট করছে। সিমান্তবর্তী হওয়ায় বিজিবি সদস্যদের চলাচল ও স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের ভিষন অসুবিধায় পড়তে হয়। এই ঘাটে ব্রীজ নির্মানের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে কোন লাভ হয়নি। অত্র এলাকার লোকজনের কষ্টলাগব দুর করতে ব্রীজটি নির্মানে সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।

উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম জানান,ব্রীজটি অনুর্ধ্ব-১০০ প্রজেক্ট এলজিইডিতে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে কাজ কাজ শুরু হবে।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন