কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভাবীকে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র নিজ মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে লম্পট এক দেবর। ধর্ষণের কয়েক দিন পর ধর্ষকের স্ত্রী মোবাইল ফোনে স্বামী ও জায়ের শারীরিক সম্পর্কে ভিডিও চিত্র দেখতে পায়।পরে মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও চিত্রটি স্হানীয় মাতবর মাইদুল ইসলামকে দেখায় ধর্ষকের স্ত্রী। এর পর এলাকার টাউট মাতবর মাইদুল ইসলাম ধর্ষিতা ওই নারীকে ভিডিও চিত্র দেখিয়ে অনৈতিক ভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কুট কৌশল চালাতে থাকে। লম্পট ওই যুবক উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উত্তর সাদুল্যা রসুলপুর গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ওই গ্রামের উমেদ আলীর ছেলে সুরুজ্জামান এর স্ত্রী বাড়িত না থাকায় তার ভাবীকে বাড়িতে ডেকে নেয়। এক পর্যায় সুরুজ্জামান ভাবীকে জড়িয়ে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে বলে ধর্ষিতা জানায়এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে । ধর্ষণের কয়েক দিন পর সুরুজ্জামানর স্ত্রী ওই ভিডিও চিত্র মোবাইলে দেখতে পায়। এ নিয়ে সুরুজ্জামান ও স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। স্হানীয় মাতবর মাইদুল ইসলাম ওই কলহের সমাধান করতে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায়। এর পর থেকে এলাকার খলিলুরের পুত্র মাইদুল তার সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে উভয় পক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। ধর্ষণের ঘটনায় গত ৬ মে, মঙ্গলবার রাতে এক সালিশ বৈঠক বসে স্হানীয় মাতবররা। ওই বৈঠক মাইদুল এর নেতৃত্বে সেকেন্দার আলী, শাহীন মিয়া সহ ৫ জনের জুড়ি বোর্ড গঠন করে।জুড়ি বোর্ডে ধর্ষিতা ওই নারীর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা সহ মাথার চুল কেটে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আর ধর্ষক সুরুজ্জামানকে ২০ বেত্রাঘাত করার সিদ্ধান্ত দেয় বলে বৈঠকে উপস্থিত মানুষজনের মাঝে ঘোষণা করে জুড়ি বোর্ড। জুড়ি বার্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ধর্ষিতা ওই নারীর মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। ওই নারীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, স্হানীয় মাতবরগণ অন্যায় ও আইন পরিপন্থী ভাবে আমার মাথার চুল কেটে দিয়ে আমাকে সামাজে হেয়ো প্রতিপন্য করেছে । আমি এর বিচার চাই। এ ব্যাপার উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ঘটনাটি শুনছি, ভিকটিম চাইলে আইনি সহায়তা করা হবে।
নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন