ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকছে না

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠে নামানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মাদারীপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না হয় সবাই তৎপরতা রয়েছেন। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত না থাকলেও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চান শিক্ষামন্ত্রী

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী আছে। তারাই নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যথেষ্ট। এছাড়াও র‌্যাব, বিজিবি, আনছার, গোয়েন্দা বাহিনী আছে। তারা তো সারাক্ষণই খোঁজ-খবর রাখছে।

আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়দের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে কোন দল কি সিদ্ধান্ত নিলো, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে নির্বাচন কমিশনের কোনো সমস্যা নেই। আইনের ভেতরে থেকে যে কোনো সিদ্ধান্ত যে কোনো দল নিতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো সহিংসতা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা সহিংসতার কাজে জড়িত থাকে, তাদের কাউকে কখনই ছেড়ে দেয়া হয় না। এ সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে যদি কোনো কর্মকর্তা ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। সব ধরনের সংঘর্ষ কিংবা সহিংসতা ফেরানো সম্ভব না। পুলিশের একার পক্ষে ঘরে ঘরে পাহারা দেয়া সম্ভব না। এত পুলিশ আমাদের দেশে নেই। একটি দেশের সুখ-শান্তি নির্ভর করে, দেশের জনগণের উপর। পৃথিবীর কোনো দেশে শুধু পুলিশ দিয়ে শান্তি রক্ষা করতে পারে না। জনগণের দায়িত্ব আছে, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে, সেই তথ্য প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আহম্মেদ আলীসহ বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন দপ্তরের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা প্রমুখ।

আরও পড়ুন>>মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ঈদের ছুটি আরও একদিন বাড়তে পারে!

উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকছে না

প্রকাশিত সময়:- ০৭:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠে নামানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মাদারীপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না হয় সবাই তৎপরতা রয়েছেন। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত না থাকলেও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চান শিক্ষামন্ত্রী

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচনে নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী আছে। তারাই নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যথেষ্ট। এছাড়াও র‌্যাব, বিজিবি, আনছার, গোয়েন্দা বাহিনী আছে। তারা তো সারাক্ষণই খোঁজ-খবর রাখছে।

আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়দের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে কোন দল কি সিদ্ধান্ত নিলো, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। এখানে নির্বাচন কমিশনের কোনো সমস্যা নেই। আইনের ভেতরে থেকে যে কোনো সিদ্ধান্ত যে কোনো দল নিতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো সহিংসতা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা সহিংসতার কাজে জড়িত থাকে, তাদের কাউকে কখনই ছেড়ে দেয়া হয় না। এ সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে যদি কোনো কর্মকর্তা ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। সব ধরনের সংঘর্ষ কিংবা সহিংসতা ফেরানো সম্ভব না। পুলিশের একার পক্ষে ঘরে ঘরে পাহারা দেয়া সম্ভব না। এত পুলিশ আমাদের দেশে নেই। একটি দেশের সুখ-শান্তি নির্ভর করে, দেশের জনগণের উপর। পৃথিবীর কোনো দেশে শুধু পুলিশ দিয়ে শান্তি রক্ষা করতে পারে না। জনগণের দায়িত্ব আছে, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে, সেই তথ্য প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আহম্মেদ আলীসহ বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন দপ্তরের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা প্রমুখ।

আরও পড়ুন>>মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন