ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলে আরও ভয়ংকর হামলার পরিকল্পনা ইরানের?

এক সময় মধ্যপ্রাচ্য তথা পুরো বিশ্বের মধ্যে অন্যতম পরাশক্তি ছিল ইরান। এখন আগের সেই ধার-ভার নেই ঠিকই, কিন্তু এখনো আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ইরানের প্রভাব নিতান্তই কম নয়। মার্কিন এবং ইসরায়েলি আধিপত্তবাদের বিরুদ্ধে একাই লড়ে যাচ্ছে এই মুসলিম দেশটি। এমনকি ইসরায়েল যখন গাজার নিরীহ মানুষের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে তখন একমাত্র ইরানই শক্তভাবে মজলুমদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেই তেহরানকে দমাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। ইরানের পরমানু কর্মসূচি সীমিত করতে চাপ প্রয়োগ করছেন তিনি। এমনকি ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন। ইসরায়েলকে সঙ্গে নিয়ে তেহরানকে একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ইয়েমেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ওপর কোনো হামলা হলে পরিণতি ভোগ করতে হবে ইরানকে। এর আগে আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এভাবে ইরানকে হুমকি দেওয়ার সাহস পাননি। কিন্তু ট্রাম্প এখন বিপজ্জনক এই খেলায় মেতে উঠেছেন। সিরিয়া, লেবানন ও গাজায় ইরানের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ায় সেই সুযোগ নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ছেড়ে কথা বলছে না ইরানও। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ইরান কখনোই কারো সঙ্গে সংঘাত শুরু করেনি। কিন্তু কেউ সংঘাত শুরু করলে তাদের শক্ত জবাব দেওয়া হবে।

ইরানকে ধৈর্যের যে পরীক্ষায় ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল, তা শিগগিরই ভেঙে যাবে বলে মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যে রুখে দাঁড়িয়েছে লেবানন। গাজার পাশাপাশি লেবাননেও ইসরায়েলি হামলার পর, পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে দেশটি। ইসরায়েলের সামনে নতি স্বীকার না করে আবারও অস্ত্রকেই বেঁছে নিয়েছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

গাজায় দ্বিতীয় দফায় গণহত্যা চালাতে ইসরায়েলকে মার্কিন শক্তি ও সমর্থন ধার দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য আরও তেতে উঠেছে। বিশ্বস্ত বন্ধুদের হারিয়ে ইরান এখন আহত বাঘের মতো। একবার নিজেকে সেই শৃঙ্খল থেকে ছাড়িয়ে নিলেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে দেশটি। আর এর জন্য ইরানের দরকার পরমাণু অস্ত্রের স্ট্যাটাস। ইরান যে কোনো মুহূর্তে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে এই আশঙ্কায় ভীত ট্রাম্প-নেতানিয়াহু। ইরানকে তাই যে কোনো মূল্যে পরমাণু অস্ত্র থেকে দূরে রাখতে চাইছে তারা।

তবে ইরানের এই কঠিন মুহূর্তে তার পাশে দাঁড়িয়েছে মিত্র রাশিয়া ও চীন। ইরানকে রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ ও দুই মাসব্যাপী সামরিক মহড়ায় ইরানকে সঙ্গ দিয়েছে দেশ দুটি। এমনকি ইরানের বৃহৎ নৌমহড়ায়ও অংশগ্রহণ করেছে মস্কো ও বেইজিং। ফলে শুধু স্থল বা আকাশপথই নয় জলপথেও ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত ইরান।

গত বছরের ১ অক্টোবর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের মাটিতে সরাসরি হামলা চালায় ইরান। তেলআবিবসহ ইসরায়েলের অন্যান্য শহরে দুই ধাপে ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসলামিক রিপাবলিক দেশটি। ইরানের মতে ওই হামলা ছিল নমুনামাত্র। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে, ট্রাম্পের সমর্থনে নেতানিয়াহু যখন ইরানে হামলার পাঁয়তারা করছে তখন ইসরায়েলে আরও বড় ও ভয়ংকর হামলার পরিকল্পনা করছে ইরান।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ইসরায়েলে আরও ভয়ংকর হামলার পরিকল্পনা ইরানের?

প্রকাশিত সময়:- ০৩:৫৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

এক সময় মধ্যপ্রাচ্য তথা পুরো বিশ্বের মধ্যে অন্যতম পরাশক্তি ছিল ইরান। এখন আগের সেই ধার-ভার নেই ঠিকই, কিন্তু এখনো আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ইরানের প্রভাব নিতান্তই কম নয়। মার্কিন এবং ইসরায়েলি আধিপত্তবাদের বিরুদ্ধে একাই লড়ে যাচ্ছে এই মুসলিম দেশটি। এমনকি ইসরায়েল যখন গাজার নিরীহ মানুষের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে তখন একমাত্র ইরানই শক্তভাবে মজলুমদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেই তেহরানকে দমাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। ইরানের পরমানু কর্মসূচি সীমিত করতে চাপ প্রয়োগ করছেন তিনি। এমনকি ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন। ইসরায়েলকে সঙ্গে নিয়ে তেহরানকে একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ইয়েমেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ওপর কোনো হামলা হলে পরিণতি ভোগ করতে হবে ইরানকে। এর আগে আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এভাবে ইরানকে হুমকি দেওয়ার সাহস পাননি। কিন্তু ট্রাম্প এখন বিপজ্জনক এই খেলায় মেতে উঠেছেন। সিরিয়া, লেবানন ও গাজায় ইরানের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ায় সেই সুযোগ নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ছেড়ে কথা বলছে না ইরানও। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ইরান কখনোই কারো সঙ্গে সংঘাত শুরু করেনি। কিন্তু কেউ সংঘাত শুরু করলে তাদের শক্ত জবাব দেওয়া হবে।

ইরানকে ধৈর্যের যে পরীক্ষায় ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল, তা শিগগিরই ভেঙে যাবে বলে মনে হচ্ছে। ইতোমধ্যে রুখে দাঁড়িয়েছে লেবানন। গাজার পাশাপাশি লেবাননেও ইসরায়েলি হামলার পর, পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে দেশটি। ইসরায়েলের সামনে নতি স্বীকার না করে আবারও অস্ত্রকেই বেঁছে নিয়েছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

গাজায় দ্বিতীয় দফায় গণহত্যা চালাতে ইসরায়েলকে মার্কিন শক্তি ও সমর্থন ধার দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য আরও তেতে উঠেছে। বিশ্বস্ত বন্ধুদের হারিয়ে ইরান এখন আহত বাঘের মতো। একবার নিজেকে সেই শৃঙ্খল থেকে ছাড়িয়ে নিলেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে দেশটি। আর এর জন্য ইরানের দরকার পরমাণু অস্ত্রের স্ট্যাটাস। ইরান যে কোনো মুহূর্তে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে এই আশঙ্কায় ভীত ট্রাম্প-নেতানিয়াহু। ইরানকে তাই যে কোনো মূল্যে পরমাণু অস্ত্র থেকে দূরে রাখতে চাইছে তারা।

তবে ইরানের এই কঠিন মুহূর্তে তার পাশে দাঁড়িয়েছে মিত্র রাশিয়া ও চীন। ইরানকে রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ ও দুই মাসব্যাপী সামরিক মহড়ায় ইরানকে সঙ্গ দিয়েছে দেশ দুটি। এমনকি ইরানের বৃহৎ নৌমহড়ায়ও অংশগ্রহণ করেছে মস্কো ও বেইজিং। ফলে শুধু স্থল বা আকাশপথই নয় জলপথেও ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত ইরান।

গত বছরের ১ অক্টোবর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের মাটিতে সরাসরি হামলা চালায় ইরান। তেলআবিবসহ ইসরায়েলের অন্যান্য শহরে দুই ধাপে ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসলামিক রিপাবলিক দেশটি। ইরানের মতে ওই হামলা ছিল নমুনামাত্র। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে, ট্রাম্পের সমর্থনে নেতানিয়াহু যখন ইরানে হামলার পাঁয়তারা করছে তখন ইসরায়েলে আরও বড় ও ভয়ংকর হামলার পরিকল্পনা করছে ইরান।

নিউজ বিজয় ২৪ডট কম/এফএইচএন