ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে আবারও জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অবমাননার মামলায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল রাজ্জাক শাহ হত্যা মামলায় আগামী ৯ আগস্টের আগে ইমরান খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারবে না বলে আদেশ জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসিপি নতুন এ পরোয়ানা জারি করে। ইসলামাবাদ ক্যাপিটাল টেরিটরি (আইসিটি) পুলিশকে এ পরোয়ানা বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা পালন পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনকে অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানিতে ইমরান খান ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়েই ইমরানকে গ্রেপ্তার করে ইসিপির সামনে হাজির করতে ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইসিপি বারবার তলব করলেও দেশটির সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী সময় ও শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে শুনানিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন।

গত বছর দেশটির নির্বাচন কমিশন ও সিইসির বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে পিটিআই প্রধানসহ দলটির সাবেক মহাসচিব আসাদ উমর ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করে ইসিপি।

পরে ইসিপির সদস্য নিসার দুররানির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের বেঞ্চে হাজির হয়ে ইমরান খান ও অন্যদের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য কয়েক দফায় নোটিশও পাঠানো হয়। কিন্তু পিটিআই নেতারা ইসিপির বেঞ্চে হাজির হননি। এর পরিবর্তে দেশটির উচ্চ আদালতে নির্বাচন আইন-২০১৭ এর ১০ ধারার আওতায় ইসিপির অবমাননার মামলার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করেন পিটিআই নেতারা।

চলতি বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরান খান ও পিটিআইয়ের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইসিপিকে অনুমোদন দেয়। গত ২১ জুন নির্বাচন কমিশন ও সিইসিকে অবমাননার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পেলেও ইসিপিকে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার ক্ষমতা দেয়নি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

কয়েক দফায় নোটিশ পাঠানো হলেও নির্বাচন কমিশনের গঠিত বিচারিক বেঞ্চের শুনানিতে ইমরান খান ও তার দলের নেতারা হাজির হননি। একইভাবে শুনানিতেও ইমরান খান, ফাওয়াদ চৌধুরী ও আসাদ উমরের কেউই ইসিপিতে উপস্থিত হননি। পরে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এ মামলার কার্যক্রম আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করে ইসিপি। খবর জিও নিউজ

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে ৮ বাংলাদেশী আটক

ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত সময় :- ০১:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে আবারও জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অবমাননার মামলায় তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল রাজ্জাক শাহ হত্যা মামলায় আগামী ৯ আগস্টের আগে ইমরান খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারবে না বলে আদেশ জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসিপি নতুন এ পরোয়ানা জারি করে। ইসলামাবাদ ক্যাপিটাল টেরিটরি (আইসিটি) পুলিশকে এ পরোয়ানা বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা পালন পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনকে অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানিতে ইমরান খান ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়েই ইমরানকে গ্রেপ্তার করে ইসিপির সামনে হাজির করতে ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইসিপি বারবার তলব করলেও দেশটির সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী সময় ও শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে শুনানিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন।

গত বছর দেশটির নির্বাচন কমিশন ও সিইসির বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে পিটিআই প্রধানসহ দলটির সাবেক মহাসচিব আসাদ উমর ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করে ইসিপি।

পরে ইসিপির সদস্য নিসার দুররানির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের বেঞ্চে হাজির হয়ে ইমরান খান ও অন্যদের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য কয়েক দফায় নোটিশও পাঠানো হয়। কিন্তু পিটিআই নেতারা ইসিপির বেঞ্চে হাজির হননি। এর পরিবর্তে দেশটির উচ্চ আদালতে নির্বাচন আইন-২০১৭ এর ১০ ধারার আওতায় ইসিপির অবমাননার মামলার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করেন পিটিআই নেতারা।

চলতি বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরান খান ও পিটিআইয়ের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইসিপিকে অনুমোদন দেয়। গত ২১ জুন নির্বাচন কমিশন ও সিইসিকে অবমাননার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পেলেও ইসিপিকে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার ক্ষমতা দেয়নি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

কয়েক দফায় নোটিশ পাঠানো হলেও নির্বাচন কমিশনের গঠিত বিচারিক বেঞ্চের শুনানিতে ইমরান খান ও তার দলের নেতারা হাজির হননি। একইভাবে শুনানিতেও ইমরান খান, ফাওয়াদ চৌধুরী ও আসাদ উমরের কেউই ইসিপিতে উপস্থিত হননি। পরে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এ মামলার কার্যক্রম আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করে ইসিপি। খবর জিও নিউজ

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন