সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রী কলেজের সদ্য বাতিল হওয়া কমিটির সভাপতিসহ ক্ষমতা দাপট, স্বেচ্ছাচারিতা অর্থ লুটে নেয়াসহ নানান অভিযোগ উঠেছে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে। দূর্নীতির অভিযোগ তুলে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের নিকট এলাকার লোকজন অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল আলম সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রী কলের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকলেও কখন’ই তিনি ক্লাস নিতেন না। কিন্তু বসে-বসে বেতন ভাতা নিয়মিতই উত্তোলন করতেন। কলেজটিতে প্রভাব বিস্তার করে তারই আপন বোন জামাই রুহুল আমিনকে সভাপতি বানিয়ে কলেজটিতে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হাই সিদ্দিক এর গত দুই বছর পূর্বে এমপিওতে না আসলেও সভাপতিকে দাবিকৃত ৫লক্ষ টাকা উৎকোচ না দেয়ায় এখন পর্যন্ত তার বেতন ভাতাদি দেয়া হয়নি। কলেজটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকুরীর বয়সসীমা শেষ হবার পূর্বেই ওই সমস্ত পদে দেয়া হতো আগেই নিয়োগ।
অভিযোগ রয়েছে কলেজটির অধ্যক্ষ সুদান চন্দ্র রায় ও কলেজের উপাধ্যক্ষ কেএম ওবায়দুল হকসহ উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী পর্যায়ের কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেয়া হতো হাজার-হাজার টাকা।
সভাপতি ও অধ্যক্ষ এবং উপাধক্ষ্য কমিটির মেয়াদ শেষ হবার সাথে-সাথেই প্রতিবারেই নিজের আতœীয়দের মধ্যে সদস্য নির্বাচন করে প্রতিবারেই সভাপতি হতেন। অথচ একই ব্যক্তির পর-পর দুই বারের বেশি সভাপতি হওয়ার কোন বিধান না থাকলেও রুহুল আমিন টানা চারবারের সভাপতি ছিলেন। যেটি ছিল আইনের সম্পূর্ন পরিপন্থি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন এর সাথে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।
কলেজটির অধ্যক্ষ সুদান চন্দ্র রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগের বিষয়ে কোন রকম কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক রফিকুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> আদিতমারী যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন