লালমনিরহাটের আদিতমারীত উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী নুরুজ্জামানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মোঃ নুরুজ্জামান (৫০) ঐ উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের শালামারা গ্রামের মোঃ আনছার আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পর তাঁকে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে একই গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে রহিমা বেগমের সহিত বিয়ে হয় নুরুজ্জামানের। তাদের সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান আছে। তবে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নুরজ্জামান ও রহিমার মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত।
একপর্যায়ে নুরুজ্জামান রহিমা বেগমকে হত্যা করে একটি জমির পানির নালায় লুকিয়ে রাখেন। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর নালা থেকে রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ১৩ ডিসেম্বর রহিমা বেগমের বাবা সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় হত্যা মামলা করেন।
লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল বিকেলে আদালত নুরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তবে আইন অনুযায়ী আসামিপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবে।