লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের বড় কমলাবাড়ী গ্রাম দির্ঘদিন থেকে বর্ষাকালের দুই দোলার শত,শত বিঘা জমির পানি ডারা নামক স্থানে ড্রেন দিয়ে সুতি নদীতে পানি নিস্কাশন হত। বর্তমানে একমাত্র পানি চলাচলের রাস্তাটটি ঘর নির্মানের কথা বলে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে রাতের আধাঁরে মাসব্যাপী অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ভরাট করেন ঐ এলাকার আবুল হোসেন ওরফে মুন্সি নামের লোক। যার ফলে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ড্রেন খুলে দিতে গেলে সে বাধা প্রদান করে।
অবশেষে মঙ্গলবার (২৪ মে) পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহন করতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে শতাধিক কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে জানাগেছে,বর্ষা যখন শুরু হয় তখন ঐ দোলার শত,শত বিঘা জমির পানি একমাত্র এই ড্রেন দিয়ে যুগ,যুগ ধরে সুতি নদীতে প্রবাহিত হত। এদিকে গত কয়েকদিন থেকে টানা বর্ষনের ফলে ড্রাগন বাগান,পেঁপে বাগান,ধান,পাট,বেগুন,করলাসহ অন্যান্য আবাদী ফসল পানিবন্দী হয়ে আছে। কর্ষাকালে উজানের পানি পানির নিস্কাশনের একমাত্র রাস্তাটি অর্থাৎ ব্রীজটি বন্ধের কারনে প্রায় ১শত দোন (২৭ শতক ১ দোন) জমির আবাদী ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সাধনের আশাংকা করিতেছে। পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারনে কিছু দিন পূর্বে এলাকার কামরুজ্জামান নামের এক শসা চাষী ১৪ শতক জমির শসা পানি জমে থাকার কারনে মরে গেছে।
অভিযোগকারী ড্রাগন বাগান মালিক আব্দুল্লাহ বলেন, পানি চলাচলের রাস্তাটি আবুল হোসেন বন্ধ করে দেয় আমি তাকে খুলে দিতে বললে সে আরও নানা বাধাসহ হুমকী প্রদর্শন করে। পরে সংশ্লিষ্ট ইউপি’র চেয়ারম্যান,মেম্বারের নিকট গেলে তারা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করেন। টানা বর্ষনের ফলে পানি নিস্কাশনের রাস্তা দিয়ে যদি পানি না যায় তাহলে পানি জমে থাকার কারনে আমার লাখ,লাখ টাকার ড্রাগনসহ পেঁপে বাগান হুমকীর সন্মুখীন হতে হচ্ছে।
তারা প্রশাসনের কাছে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে জোর দাবী করছে।
ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান জানান,আবুল হোসেন ইতিপূর্বে বলেছিল পানি চলাচলের জন্য ড্রেন নির্মান করে দিবেন কিন্তু তার এখন প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিআর সারোয়ার বলেন,এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষকের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং কৃষি অফিসকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।