লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ছোট ভাইয়ের কোদালের কোপে বড়ভাই মিজানুর রহমান (৪৮) নিহতের ঘটনায় হত্যারর কাজে ব্যবহৃত আলামত হিসেবে কোদাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদিতমারী থানার ওসি মাহমুদ উন নবীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে হত্যা কাজে ব্যবহৃত একটি কোদাল উদ্ধার করেন ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা খায়রুল আমিন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ আমলে নিয়ে মামলায় নথিভুক্ত করে। পরে পুলিশ নিহতের ছোট ভাই আসামী রবিউল ইসলাম (৩৫) কে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঐ এলাকায় তার আত্নীয় বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ( ৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বসুনিয়াপাড়া এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান ওই গ্রামের খায়রুল আমিনের বড় ছেলে। নিহতের বাবা খায়রুল আমিন বলেন, জমির ড্রেন নিয়ে দুই ভাইয়ের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এই ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাড়ি পাশে কোদাল নিয়ে পানির ড্রেন বন্ধ করতে যান ছোট ভাই রবিউল ইসলাম। এসময় ওই ড্রেন করা নিয়ে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ওই কোদাল দিয়েই তার মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান বড় ভাই মিজানুর। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মিজানুরকে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজে তিনি মারা যান।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামিকাল বৃহস্পতিবার কোর্টে প্রেরন করা হবে।
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন