অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত রায়কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) প্যানেল চেয়ারম্যান শামসুল হককে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে একটি পত্র দিয়েছেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারয়োরার।
তবে ওই চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত রায়ের দাবী তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার। এর আগেও একই কায়দায় কথিত অভিযোগ তুলের ওই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ে ছিল।
এর আগে বুধবার (২৬ অক্টোবর) এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত একটি পত্রে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই পত্রে বলা হয়, কৃষ্ণ কান্ত রায় ইউনিয়ন পরিষদের উপকারভোগীদের ৩ লাখ ২ হাজার ২৮০ টাকা বিতরণ না করে নিজের কাছে রেখেছেন। যা তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত রায়কে স্থায়ী বহিষ্কার কেন করা হবে না মর্মে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে এর জবাব দিতেও বলা হয়েছে।
তবে অপর একটি সুত্র বলেছেন, ভাদাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কান্ত রায়ের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগটি সত্য নয়। তিনি মূলত ক্ষমতাসীন দলের দলীয় কোন্দলের কারণে প্রতিহিংসার রাজনীতি ও ষড়ষন্ত্রের শিকার। এর আগেও একই কায়দায় কথিত অভিযোগ তুলের ওই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ে ছিলো। পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারওয়ার বলেন, বিষয়টি নিয়ে এর আগে তদন্ত করা হয়েছে। সে তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে চেয়ারম্যানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।