ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মাহমুদুর রহমান

আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তবে জামিন মেলেনি দীর্ঘ ছয় বছর পরে দেশে ফিরে আসা এই সম্পাদকের।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার পর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে মাহমুদুর রহমান জামিন আবেদন করেননি জানিয়ে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আত্মসমর্পণ করে তিনি কারাগারে গিয়েছেন। আপিল করা হবে, আশা করি দ্রুতসময়ে তিনি মুক্ত হবেন। বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের জন্য তাকে প্রহসনের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেও জানান এই আইনজীবী।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় এ আবেদন করেন তিনি। তার অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে একত্রিত হন।

এ সময় আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকলে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেছেন মাহমুদুর রহমান। দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, এই আমলে আমার কারাগারে থাকতে আপত্তি নেই। হ্যাঁ, আমার বয়স হয়েছে, আমি বুড়ো হয়ে গেছি, কিন্তু জেলে থাকার মতো মানসিক এবং শারীরিক শক্তি এখনও আমার আছে।

এর আগে এ মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ। সেসময় মাহমুদুর রহমান পলাতক (দেশের বাইরে) থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

এদিকে, ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় একটি ফ্লাইটে তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন

👉 নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন ✅

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

এই প্রথম বাংলাদেশে আনন্দের সঙ্গে দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে: গয়েশ্বর

আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মাহমুদুর রহমান

প্রকাশিত সময় :- ১২:০২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তবে জামিন মেলেনি দীর্ঘ ছয় বছর পরে দেশে ফিরে আসা এই সম্পাদকের।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার পর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে মাহমুদুর রহমান জামিন আবেদন করেননি জানিয়ে তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আত্মসমর্পণ করে তিনি কারাগারে গিয়েছেন। আপিল করা হবে, আশা করি দ্রুতসময়ে তিনি মুক্ত হবেন। বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের জন্য তাকে প্রহসনের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেও জানান এই আইনজীবী।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় এ আবেদন করেন তিনি। তার অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে একত্রিত হন।

এ সময় আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকলে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেছেন মাহমুদুর রহমান। দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, এই আমলে আমার কারাগারে থাকতে আপত্তি নেই। হ্যাঁ, আমার বয়স হয়েছে, আমি বুড়ো হয়ে গেছি, কিন্তু জেলে থাকার মতো মানসিক এবং শারীরিক শক্তি এখনও আমার আছে।

এর আগে এ মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ। সেসময় মাহমুদুর রহমান পলাতক (দেশের বাইরে) থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

এদিকে, ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় একটি ফ্লাইটে তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
নিউজবিজয়২৪ডট কম/এফএইচএন