ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

https://www.newsbijoy24.com/category/dengue-update/

অধ্যাপক তাহের হত্যা

আজ রাতে ফাঁসি, মহিউদ্দিনের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা

  • অনলাইন ডেস্ক :-
  • প্রকাশিত সময় :- ১২:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • ১০৬১ পড়া হয়েছে।

ফাঁসির আর মাত্র বাকি কয়েক ঘণ্টা। মহিউদ্দিনের লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা। এদিকে গ্রামের বাড়ির মসজিদের সামনে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশেই দাফনের জন্য নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। অধ্যাপক তাহের হত্যার ৪ নম্বর আসামি ডক্টর মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ফাঁসির খবরে গ্রামবাসী যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে।

তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের লোকজন পাথর হয়ে আছে। তার শতবর্ষী বৃদ্ধা মা কানে একদমই শুনেন না, তিনি এখনো জানেন না যে তার ছেলে আজ বৃহস্পতিবার রাতেই ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলছে। পরিবারের কেউ তাকে কিছু বুঝতেও দিচ্ছেন না। তার বাড়িতে কোনো সংবাদকর্মী বা কোনো আত্মীয়-স্বজনের সমাগম দেখলেই তিনি জানতে চান কীজন্য এসেছেন আপনারা। হয়তো মা খবর শুনলে স্ট্রোক করতে পারেন এজন্যই তাকে কিছুই বলা হচ্ছে না বলে জানান তার ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মহিউদ্দিনের সঙ্গে কারাগারে শেষ দেখা করেন গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। তার সঙ্গে শেষ কথা কী হয়েছে এ বিষয়ে মহিউদ্দিনের চাচাতো ভাই ছিকু মিয়া জানান, কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের শেষ দেখা করার জন্য সময় দেন মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আমরা সেখানে দেখা করেছি ৫ জন। মহিউদ্দিনের স্ত্রী, ভাই আরজু মিয়া, বোন রিনা বেগম, আমি চাচাতো ভাই ছিকু মিয়া, আরেক চাচাতো ভাই শাহীন মিয়া।

তার সঙ্গে শেষ কথা কি হয়েছে তার উত্তরে মহিউদ্দিন বলেছেন, অধ্যাপক তাহের ছিলেন আমার বাপের সমতুল্য। তিনি আমাকে হাতে গড়িয়ে মানুষ করেছেন। প্রায়ই আমি তার বাজার ঘাট নিয়ে দিতাম। তার হত্যাকাণ্ডে আমি নির্দোষ আমি কিছুই জানতাম না। আমি ন্যায় বিচার পেলাম না, আমি আল্লাহর কাছে এর বিচার দিলাম। তার স্ত্রীকে বলেছেন, যেহেতু এদেশে ন্যায় বিচার পেলাম না, জায়গা জমি বিক্রি করে আমার ছেলে-মেয়ে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে যেও।

মহিউদ্দিনের ছোট ভাই আরজু মিয়া বলেন, ‘আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান, আমার ভাই ৪ নম্বর আসামি ছিলেন ১ নম্বর ও ২ নম্বর তারা খালাস পেল অথচ আমার ভাইয়ের ফাঁসি বহাল থাকলো। আমার ভাই নির্দোষ ছিল বিধায় মামলা সম্পর্কে কোনো গুরুত্ব দিই নাই। আমার ভাই ভেবেছিল অন্যায় করি নাই ইনশাআল্লাহ খালাস পাবো। আমার ভাই রোষানলে পড়ে ফাঁসি হলো। আমার ভাইয়ের বিচার পরকালে পাবো।

তিনি আরও বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের একটা চিঠি দিয়েছে সেই চিঠি বাড়ি নিয়ে খুলতে বলেছিলেন, আমরা গাড়ির মধ্যেই চিঠি খুলে দেখেছি, ভেতর লেখা রয়েছে ২৭-৭-২০২৩ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা এক মিনিটে ফাঁসি কার্যকর হবে। আমরা লাশ অ্যাম্বুলেন্সে পাঠিয়ে দিব, আপনারা শুধু অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া দিয়ে দিয়েন।

স্বজনরা আরও জানান, জানাজা বাড়ির মসজিদে এবং জুমার নামাজের আগেই দেওয়ার সময় নির্ধারণ করেন।

এ বিষয়ে মহিউদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে গ্রামের আরেক যুবক রনি মিয়া জানান, আমরা শুনেছি মহিউদ্দিন চাচা জাপান, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া থেকে সোনার মেডেন পেয়েছেন তিনি একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। তার মত এমন লোক আর আমাদের এলাকায় হবে না।

সকল সংবাদ পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন…

নিউজবিজয় ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন।

NewsBijoy24.Com

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

ডেঙ্গুতে আরও ১৯ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩০৩৩

https://i0.wp.com/www.bd-pratidin.com/assets/newDesktop/sp-img/dengu-desktop.gif?ssl=1

অধ্যাপক তাহের হত্যা

আজ রাতে ফাঁসি, মহিউদ্দিনের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা

প্রকাশিত সময় :- ১২:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

ফাঁসির আর মাত্র বাকি কয়েক ঘণ্টা। মহিউদ্দিনের লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা। এদিকে গ্রামের বাড়ির মসজিদের সামনে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশেই দাফনের জন্য নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। অধ্যাপক তাহের হত্যার ৪ নম্বর আসামি ডক্টর মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ফাঁসির খবরে গ্রামবাসী যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে।

তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের লোকজন পাথর হয়ে আছে। তার শতবর্ষী বৃদ্ধা মা কানে একদমই শুনেন না, তিনি এখনো জানেন না যে তার ছেলে আজ বৃহস্পতিবার রাতেই ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলছে। পরিবারের কেউ তাকে কিছু বুঝতেও দিচ্ছেন না। তার বাড়িতে কোনো সংবাদকর্মী বা কোনো আত্মীয়-স্বজনের সমাগম দেখলেই তিনি জানতে চান কীজন্য এসেছেন আপনারা। হয়তো মা খবর শুনলে স্ট্রোক করতে পারেন এজন্যই তাকে কিছুই বলা হচ্ছে না বলে জানান তার ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মহিউদ্দিনের সঙ্গে কারাগারে শেষ দেখা করেন গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। তার সঙ্গে শেষ কথা কী হয়েছে এ বিষয়ে মহিউদ্দিনের চাচাতো ভাই ছিকু মিয়া জানান, কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের শেষ দেখা করার জন্য সময় দেন মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আমরা সেখানে দেখা করেছি ৫ জন। মহিউদ্দিনের স্ত্রী, ভাই আরজু মিয়া, বোন রিনা বেগম, আমি চাচাতো ভাই ছিকু মিয়া, আরেক চাচাতো ভাই শাহীন মিয়া।

তার সঙ্গে শেষ কথা কি হয়েছে তার উত্তরে মহিউদ্দিন বলেছেন, অধ্যাপক তাহের ছিলেন আমার বাপের সমতুল্য। তিনি আমাকে হাতে গড়িয়ে মানুষ করেছেন। প্রায়ই আমি তার বাজার ঘাট নিয়ে দিতাম। তার হত্যাকাণ্ডে আমি নির্দোষ আমি কিছুই জানতাম না। আমি ন্যায় বিচার পেলাম না, আমি আল্লাহর কাছে এর বিচার দিলাম। তার স্ত্রীকে বলেছেন, যেহেতু এদেশে ন্যায় বিচার পেলাম না, জায়গা জমি বিক্রি করে আমার ছেলে-মেয়ে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে যেও।

মহিউদ্দিনের ছোট ভাই আরজু মিয়া বলেন, ‘আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান, আমার ভাই ৪ নম্বর আসামি ছিলেন ১ নম্বর ও ২ নম্বর তারা খালাস পেল অথচ আমার ভাইয়ের ফাঁসি বহাল থাকলো। আমার ভাই নির্দোষ ছিল বিধায় মামলা সম্পর্কে কোনো গুরুত্ব দিই নাই। আমার ভাই ভেবেছিল অন্যায় করি নাই ইনশাআল্লাহ খালাস পাবো। আমার ভাই রোষানলে পড়ে ফাঁসি হলো। আমার ভাইয়ের বিচার পরকালে পাবো।

তিনি আরও বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের একটা চিঠি দিয়েছে সেই চিঠি বাড়ি নিয়ে খুলতে বলেছিলেন, আমরা গাড়ির মধ্যেই চিঠি খুলে দেখেছি, ভেতর লেখা রয়েছে ২৭-৭-২০২৩ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা এক মিনিটে ফাঁসি কার্যকর হবে। আমরা লাশ অ্যাম্বুলেন্সে পাঠিয়ে দিব, আপনারা শুধু অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া দিয়ে দিয়েন।

স্বজনরা আরও জানান, জানাজা বাড়ির মসজিদে এবং জুমার নামাজের আগেই দেওয়ার সময় নির্ধারণ করেন।

এ বিষয়ে মহিউদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে গ্রামের আরেক যুবক রনি মিয়া জানান, আমরা শুনেছি মহিউদ্দিন চাচা জাপান, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া থেকে সোনার মেডেন পেয়েছেন তিনি একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। তার মত এমন লোক আর আমাদের এলাকায় হবে না।