আজ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস। আর্থ্রাইটিস হচ্ছে এটি এমন একটি অসুখ, যেখানে শরীরের সব জয়েন্টগুলোতেই যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি লক্ষ করা যায়। জীবনযাত্রার সঙ্গে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে এই রোগ। সমাজের আর্থ-সামাজিক বোঝা হিসেবে এই রোগ দিন-দিন বাড়ছে।
Google news
তবে এই রোগ নিয়ে রয়েছে কিছু কুসংস্কার। রোগ সম্পর্কে অসচেতনতা ও অজ্ঞতার উপর নির্ভর করে মানুষ নানারকম ধারণায় বশবর্তী হয়ে পড়ে। আর সেই ধারণাগুলি কাটিয়ে সচেতনতা বিস্তার করতেই সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস। ১৯৯৬ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড আর্থ্রাইটিস ডে’ দিবসটি ‘আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউমেটিজম ইন্টারন্যাশনাল’ এর তত্ত্বাবধানে উদযাপিত হয়ে আসছে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- Living with an RMD at all stages of life.
বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স্কদের মধ্যে আর্থ্রাইটিস বেশি দেখা যায় বটে, কিন্তু এটি যেকোনও বয়সে হতে পারে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ২০-৪০ বছর বয়সেই দেখা যায়।আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের ব্যথা কম থাকে। শরীরে শক্তি বেশি থাকে, ঘুম ভালো হয় এবং প্রতিদিন কাজে মন বসে।
রিউমাটয়েট আর্থ্রাইটিস, স্পনডাইলো আর্থ্রাইটিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিসসহ ১২০টি বড় ধরনের রোগসহ প্রায় সাতশ রোগের সমন্বয় হলো আর্থ্রাইটিস। বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের আর্থ্রাইটিস বা বাত–ব্যথায় ভুগছেন। আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা থাকে এবং এ ব্যথা ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে।