দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। এই নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটের মাঠের প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীরা একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। প্রার্থীদের এমন আচরণবিধি লঙ্ঘনে একের পর এক শোকজ-তলব করছে নির্বাচন কমিশনের গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা, ইসিতে তলবসহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশনের করা মামলায় প্রার্থীরা স্বস্তিতে থাকবেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের দাবি, নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করলে সেটা নিষ্পত্তি হতে হতে প্রার্থীরা এমপি হয়ে যাবে। এজন্য বিধিবিধানের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনে বাধ্য করতে হবে।
শোকজ ও তলব করেও প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রার্থী এবং তাদের সমর্থক ছাড়াও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আসছে প্রতিনিয়তই। এখন পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২০৮ জন প্রার্থীকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার যুগ্মসচিব মাহবুবার রহমান সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন>> হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের নির্দেশ
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন