আগামী ১ অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে মেট্রোরেল। এ রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিমি। মেট্রোরেল প্রকল্প লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএল’র এমডি এম এ এন সিদ্দিক এ তথ্য জানান।
একই সঙ্গে বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ট্রেন চলাচল করবে নির্মাণাধীন উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোয়। ট্রেনগুলো পরিচালনা করা হবে সমন্বিতভাবে। আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরুর আগে আগামী ১ অক্টোবর সমন্বিতভাবে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হচ্ছে। এ পরীক্ষা শেষ করে কিছুদিন যাত্রীবিহীন মেট্রোর ট্রেনগুলো পরিচালনা করা হবে। এরপর শুরু হবে যাত্রী পরিবহন।
গতকাল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, এরই মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আগস্টের মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত কোনও কাজ বাকি থাকবে না। মতিঝিল পর্যন্ত রেলওয়ে ট্র্যাক বসানো হয়েছে। ১৪ জোড়া কোচ আনা হয়েছে। ১০টির পারফরমের্ন্স পরীক্ষা চলছে।
‘নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন সিস্টেম পরীক্ষা করা হচ্ছে। জরুরি সেবার আওতায় মেট্রোরেল লোডশেডিংয়ের আওতামুক্ত থাকবে।’
মেট্রোরেলে পরিচালনায় দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত জানিয়ে এম এন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য জনশক্তির প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। উদ্বোধনের প্রথম দিন থেকেই পুরোপুরি সেবা দিতে পারবে মেট্রোরেল।
প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-১ ডিপো এলাকার ভূমি অধিগ্রহণ ও প্যাকেজ-২ এর আওতায় ডিপো এলাকার পূর্ত কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এ দুটি প্যাকেজে একশ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানান এম এন সিদ্দিক।
মেট্রোরেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমন্বিত পরীক্ষামূলক চলাচলের সময় বিভিন্ন খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা হবে। যেমন চলাচল করা ট্রেনের দরজা ঠিকমতো খুলছে কিনা, স্টেশনে ট্রেনের ঘোষণা সময় অনুযায়ী দেয়া হচ্ছে কিনা এ রকম বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।