লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জাইকার(জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর ইয়াসীন আলীকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।ইয়াসীন আলীকে অবরুদ্ধ করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়া হয়।
৮ জুলাই ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়,রেলওয়ের টিটিই গোলাম জাকির ও তার চাচাতো ভাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্লার্ক সফিক সুজা সোলার স্ট্রিট লাইট নিয়ে জেরা করছেন।গোলাম জাকির ইয়াসিন আলীকে তার বাড়ির সামনে সোলার স্টিট লাইট না লাগানোর জন্য প্রশ্ন করছেন।
এই সংক্রান্ত দুটি ভিডিও প্রতিবেদকের কাছেও গোলাম জাকির পাঠিয়েছেন।
প্রসংগত,২০২১-২২ অর্থবছরে আদিতমারী উপজেলায় ১১৮টি সোলার স্ট্রিট লাইটের বরাদ্দ করে জাইকা।সেই কাজ ২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হয়।সেই লাইটের বরাদ্দ উপজেলা পরিষদ,উপজেলা প্রশাসন এবং আওয়ামীলীগ নেতাদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।এতে কিছু স্থানে লাইট লাগানো এবং লাইটের টেকসই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
জাইকা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে উপজেলা চচেয়ারম্যান প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা ননির্বাহী ককর্মকর্তাকে সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর কাজটি বাস্তবায়ন করে।
গোলাম জাকির বলেন,কাজটিতে অনিয়ম হয়েছে।এ বিষয়ে কথা বলেছি।বসে কথা বললে বোঝানো যাবে।
জাইকার কো-অর্ডিনেটর ইয়াসিন আলী বলেন,আমাকে রেলওয়ের টিটিই গোলাম জাকির লাইট লাগানো নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।আমরা কাজটি মনিটর করি।উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে জাইকা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কাজটি বাস্তবায়ন করেছে।এতে কারিগড়ি বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দেখেছে।আমরা মনিটরিং করে রিপোর্ট দিবো।ঠিকাদের বিল এখনো দেয়া হয়নি।
জাইকার কো-অর্ডিনেটরকে অবরুদ্ধ করে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভিডিও বিষয়ে লালমনিরহাটের উপ-পরিচালক(স্থানীয় সরকার) মাহবুবুর রহমান বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা ভিডিওটি নজরে আসেনি।আমি বিষয়টি খোঁজ খরব নিয়ে দেখছি।
আরও পড়ুন>>নকল মুক্ত পরিবেশে আলহাজ্ব সারেয়ার খান ডিগ্রী কলেজ এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন