বিভিন্ন উৎসব আয়োজনে স্বাভাবিকভাবেই বেশি খাওয়া হয়ে যায় সবারই। বিশেষ করে ঈদে সবার ঘরেই বাহারি সব খাবার তৈরি করা হয়। এটা সেটা খেতে খেতে সবারই অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়।
আবার একসঙ্গে বেশি খাবার নিয়ে বসে দ্রুত খাওয়ার কারণেও অতিরিক্ত খাওয়া হয়। কারণ দ্রুত খাবার খেলে মস্তিষ্ক টের পায় না কতটুকু খাওয়া হচ্ছে।
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। যেমন- পেট ফুলে থাকা, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, পেটে ব্যথাসহ বিভিন্ন সমস্যা ইত্যাদি। তাই ঈদে অতিরিক্ত খেলে ফেললেও কয়েকটি কাজের মাধ্যমে আপনি শারীরিক সমস্যা এড়াতে পারবেন-
>> অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা না করে বরং বিশ্রাম করুন।
>> এ সময় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত খাওয়ার পর একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এতে খাবার দ্রুত হজম হবে।
>> পানি পান করুন একটু পরপর। এতে খাবারের মাধ্যমে শরীরে জমা হওয়া অতিরিক্ত লবণের মাত্রা কমবে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন ও শরীর আর্দ্র থাকবে।
>> বেশি খাবার খাওয়ার পর কখনো শুয়ে পরবেন না। এর ফলে খাবার হজম হবে না বরং অ্যাসিডিটি বেড়ে যাবে। পেট ফুলে যাবে, বুকে ব্যথা ও নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হবে।
>> অতিরিক্ত খাওয়ার পর কখনো কোমল পানীয় পান করবেন না। এর ফলে গ্যাস্ট্রিক আরও বেড়ে যাবে।
>> খাবার খাওয়ার সময় যখনই মনে হবে আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেছেন; তখনই খাওয়া বন্ধ করুন।
>> একবেলা ভারি খাবার খেলে অন্যবেলায় কম ক্যালোরি ও হালকা খাবার রাখুন।
>> খাবার খাওয়া সময় গল্প, ফোন ও টিভির মনিটরে তাকিয়ে থাকবেন না। এর ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়।
>> খাওয়া শুরু করার ২০ মিনিটের মধ্যে মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে; তাই প্রথম ১০ মিনিট খুবই ধীরে ধীরে খাবার খেতে হবে।
একবার খাবার মুখে নিয়ে অনন্ত ৯০ বার চাবানো উচিত। ধীরে ধরে খাবার খেলে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। এর ফলে ওজনও কমে।
>> অনেকেরই অতিরিক্ত খাওয়ার পর বমি বমি ভাবসহ নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমনটি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।