ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢামেক মর্গে পড়ে আছে অজ্ঞাত নারী-শিশুর লাশ

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের ভেতরে বেশিরভাগের মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছে প্রশাসন। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ে আছে এক নারী ও শিশুর লাশ।

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট হেদায়েতুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা অনুমান করছি তারা মা-মেয়ে। চেহারা একইরকম। তাদের কোনো দাবিদার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছয়জনকে চেনার উপায়ে নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার কথা বলছে পুলিশ। তাদের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

এদিকে পুড়ে অঙ্গার হওয়া যে ছয়জনকে চেনা যাচ্ছে না, তাদের মধ্যে দুইজনের দাবি নিয়ে মর্গে এসেছেন স্বজনেরা। তবে ওই দাবিদারদের লাশ না দিয়ে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, দুজনকে শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের দাবিদারদের ডিএনএ করার পর লাশ বুঝিয়ে দেয়া হবে।

যে দুজনের লাশের দাবি করা হয়েছে, স্বজনেরা তাদের নাম বলেছে- এ কেএম মিনহাজ (২৪) ও অভিশ্রুতি শাস্ত্রী (২৫)।

একবারে পুড়ে যাওয়ায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না জানিয়ে হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মরদেহের মধ্যে ৩৮ জনের মরদেহ স্বজনেরা বুঝে নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির পরিচিত খাবার দোকান ‘কাচ্চি ভাই’ এর শাখা, পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েন, নিচের তলায় স্যামসাং এর শোরুমসহ আরও বেশ কিছু দোকান।

স্যামসাংয়ের শোরুমের পাশে রয়েছে একটি কফি শপ। এরকম কফির দোকানসহ ফাস্টফুডের অনেকগুলো দোকান ও রেস্তোরাঁ রয়েছে ভবনটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন :-

নিউজ বিজয়ের সম্পর্কে

নিউজবিজয়২৪.কম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎসর্গ করলাম আমার বাবার নামে, যাঁর স্নেহ-সান্নিধ্যের পরশ পরিবারের সুখ-দু:খ,হাসি-কান্না,ব্যথা-বেদনার মাঝেও আপার শান্তিতে পরিবার তথা সমাজে মাথা উচুঁ করে নিজের অস্তিত্বকে মেলে ধরতে পেরেছি।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢামেক মর্গে পড়ে আছে অজ্ঞাত নারী-শিশুর লাশ

প্রকাশিত সময়:- ০৬:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের ভেতরে বেশিরভাগের মরদেহ শনাক্তের পর স্বজনদের হাতে তুলে দিয়েছে প্রশাসন। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পড়ে আছে এক নারী ও শিশুর লাশ।

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট হেদায়েতুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা অনুমান করছি তারা মা-মেয়ে। চেহারা একইরকম। তাদের কোনো দাবিদার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছয়জনকে চেনার উপায়ে নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার কথা বলছে পুলিশ। তাদের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

এদিকে পুড়ে অঙ্গার হওয়া যে ছয়জনকে চেনা যাচ্ছে না, তাদের মধ্যে দুইজনের দাবি নিয়ে মর্গে এসেছেন স্বজনেরা। তবে ওই দাবিদারদের লাশ না দিয়ে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, দুজনকে শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের দাবিদারদের ডিএনএ করার পর লাশ বুঝিয়ে দেয়া হবে।

যে দুজনের লাশের দাবি করা হয়েছে, স্বজনেরা তাদের নাম বলেছে- এ কেএম মিনহাজ (২৪) ও অভিশ্রুতি শাস্ত্রী (২৫)।

একবারে পুড়ে যাওয়ায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না জানিয়ে হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মরদেহের মধ্যে ৩৮ জনের মরদেহ স্বজনেরা বুঝে নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির পরিচিত খাবার দোকান ‘কাচ্চি ভাই’ এর শাখা, পোশাকের ব্র্যান্ড ইলিয়েন, নিচের তলায় স্যামসাং এর শোরুমসহ আরও বেশ কিছু দোকান।

স্যামসাংয়ের শোরুমের পাশে রয়েছে একটি কফি শপ। এরকম কফির দোকানসহ ফাস্টফুডের অনেকগুলো দোকান ও রেস্তোরাঁ রয়েছে ভবনটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে।

প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর।

নিউজবিজয়২৪/এফএইচএন